চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উখিয়ায় এনজিও ‘শেড’র গুদাম থেকে বিপুল ধারালো অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা , উখিয়া

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১২ পূর্বাহ্ণ

উখিয়ায় এনজিও সংস্থা মুক্তির নির্দেশে তৈরিরত কোটবাজার কামারের দোকান থেকে ৬শ পিস ধারালো অস্ত্র (নিড়ানি) উদ্ধারের ১০ দিনের ব্যবধানে উপজেলা প্রশাসন মালভিটাস্থ শেডের গুদামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, আইওএম প্রদত্ত এসব অস্ত্র কৃষি কাজে ব্যবহারে স্থানীয়দের বিতরণের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এনজিওদের তৈরি ও সরবরাহ করা বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র স্থানীয়দের পক্ষে একসময় বুমেরাং হতে পারে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা ১টার দিকে গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া সদর মালভিটাপাড়ায় এনজিও সংস্থা শেডের ভাড়াটিয়া গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাম-দা ১৭শটি,
। ৯ম পৃষ্ঠার ১ম ক.­

 

বেঞ্চা হাতুড়িসহ ২২শ, হাতুড়ি ( লোহার তৈরি হেমার) ১১শ, স্টিলের প্লাস ১২শ, হাত করাত ১২শ, লাঠি ১ হাজার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও রয়েছে ছুরি, চাপাতি, তার-কড়াইসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি। উল্লেখিত গ্রামে বসবাসরত হাজি আব্দুল মান্নান জানান, যেসব যন্ত্রপাতি এনজিও সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সরবরাহ করছে তা স্থানীয়দের জন্য মারাত্মক। যেকোন পরিস্থিতিতে এসব অস্ত্র হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, এনজিও সংস্থা শেড সংশ্লি­ষ্টদের তৈরি ও মজুদ রাখা এসব জিনিসপত্র কি কাজে ব্যবহৃত হবে তার বৈধতা, অনুমতি পত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে কথা হয় এনজিও সংস্থা শেডের সম্বন্বয়কারী আবু সরোয়ারের সাথে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি শেডে কাজ করে আসছেন। পর্যটন শহর ইনানীতে বাস্তবায়নাধীন জাতীয় উদ্যানের কাজ করে ইনানীর ধ্বংসাবস্থা দৃশ্যমান করে তুলেছে।
তিনি বলেন, তাদের আওতাধীন হাজার হাজার পরিবার আর্থিক সুবিধা ভোগ করে বর্তমানে সচ্ছল জীবন যাপন করছেন। এসব হত দরিদ্রদের কৃষি, ক্ষেত খামার কাজে ব্যবহার করার জন্য এনজিও সংস্থা আইএমও এসব তাদের সরবরাহ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ইতি পূর্বেও একটি এনজিও সংস্থা থেকে একই ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। যে কারণে স্থানীয়দের মাঝে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই এনজিও সংস্থা শেড থেকে যেসব অস্ত্র ও লোহার তৈরি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট