চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের ৪র্থ দিনে বক্তারা

সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ত্যাগ স্বীকার করাই কারবালার শিক্ষা

৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আহলে বায়তে রাসূল (দ.) স্মরণে আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের ৪র্থ দিনে গতকাল বুধবার দেশি-বিদেশি আলোচক ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেছেন, কোনো মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। লক্ষ্যে পৌঁছুতে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়। ৬১ হিজরিতে কারবালা ময়দানে ইয়াজিদের থাবা থেকে ইসলামের স্বকীয়তা ও মর্য়াদা রক্ষায় নবী দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। সত্য, ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা এবং দ্বীনের সুরক্ষার জন্য হযরত ইমাম হোসইন (রা.)-এর নেতৃত্বে মহাত্মা আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) সদস্যগণ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বক্তারা বলেন, ইয়াজিদি প্রেতাত্মারা আজও থেমে নেই। ইসলামের ছদ্মাবরণে ওরা দেশে দেশে নারকীয় তা-ব ও সহিংসতা চালাচ্ছে। ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের বিভীষিকা। ইসলামের এ দুশমনদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা এবং দ্বীন, সত্য ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করাই হচ্ছে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দর্শন ও শাহাদাতে

কারবালার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী ৩৪তম শাহাদাতে কারবালা মাহফিলে গতকাল ৪র্থ দিবসে সভাপতিত্ব করেন মাহফিল পরিচালানা পর্ষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সূফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের কাসওয়াসা দরবারের সাজ্জাদানশীল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ নূরানী আশরাফ আশরাফি আল জিলানি আস-সিমনানী। তিনি বলেন, কারবালার শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ, সমাজ ও বিশ্বে বিরাজিত অন্যায়, মিথ্যা ও জুলুমবাজি রুখে দিতে হবে। জমিয়তুল ফালাহর এই মাহফিল চট্টগ্রামকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ সূফি মোহাম্মদ মিজানুর রহামান বলেন, যে ব্যক্তি মর্য়াদার দিক থেকে যতো বেশি উঁচু ও বড়, আল্লাহ তার কাছ থেকে ততো বেশি পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। ত্যাগ ও সবরের পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হন তাঁরাই মূলত আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামত ও শান মর্যাদার ভাগিদার হন। সাহাবি ও আহলে বায়তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ঈমানের দাবি বিষয়ে আলোচনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান। শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন চন্দনাইশ জামিরজুরি রজভিয়া আজিজিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি আহমদ হোসাইন আলকাদেরী। হযরত ইমাম হাসানের (রা.) পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করেন কাটিরহাট মুফিদুল ইসলাম ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রিজভি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিএইচপি পরিবারের ফাইন্যান্স এন্ড এডমিনস্ট্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলী হোসেন। ড. আল্লামা মুহাম্মদ জাফর উল্লাহর সঞ্চালনায় মাহফিলে আরও অতিথি ছিলেন শাহজাদা ডা. সৈয়দ হোসাইন সাইফ নিহাদুল ইসলাম মাইজভা-ারী, সৈয়দ মুহাম্মদ গোলাম মাওলা ও সৈয়দ মুহাম্মদ ফারুক আযম রিজভী। কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক কারী শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। হামদ ও নাতে রাসূল (দ.) পরিবেশন করেন শায়ের মিনহাজুল আবেদীন। শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটির সভাপতি পেয়ার মোহাম্মদ, সিরাজুল মোস্তফা, মোহাম্মদ খোরশেদর রহমান, আনোয়ারুল হক, ড. জাফর উল্লাহ, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, সৈয়দ আবদুল লতিফ, আবদুল হাই মাসুম, মোহাম্মদ দিলশাদ আহমদ, এস এম শফি, সালামত উল্লাহ, সৈয়দ শিহাবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, জাফর আহমেদ সাওদাগর, আবুল মনসুর শিকদার, মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, মওলানা জিয়াউল হক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল শুক্রবার থেকে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের নিচতলায় পর্দা সহকারে মহিলাদের জন্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন। মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছেঃ ংঁভরঃাড়হষরহব, িি.িংযধযধফধঃ-ব-শধৎনধষধ.পড়স

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট