চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চোখে স্বপ্ন, হাতে জাল নিয়ে হালদার পাড়ে জেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ মে, ২০১৯ | ৪:২৮ অপরাহ্ণ

কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া তেল দূর্ঘটনা কাটিয়ে মা মাছের আনাগোনায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে হালদা পাড়ের জেলেরা। রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ সহ নানা জাতের মা মাছ ইতিমধ্যেই ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে। জেলেদের চোখে এখন নতুন দিনের স্বপ্ন। নদীর দুইপাড়ে এখন মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহে বংশ পরম্পরায় অভিজ্ঞ জেলেরা অপেক্ষা করছেন অধীর আগ্রহে।

হাটহাজারী ও রাউজানে ৪ মে, শনিবার রাতে ও ৫ মে রবিবার সকালে গড়দুয়ারা থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত এলাকায় ‘নমুনা ডিম’ এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন মাছের ডিম সংগ্রহকারীরা। উত্তর মাদার্শা এলাকা থেকেও ডিম সংগ্রহকারীরা জানিয়েছেন যে তারা মা-মাছের আনাগোনা দেখছেন এবং অল্পকিছু নমুনা ডিম সংগ্রহও করতে পেরেছেন।

শনিবার রাতে হালদায় নমুনা ডিম ছাড়ার খবর পাওয়ার কথা বলেছেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরীয়া। ৫ মে অর্থাৎ রবিবার বিকেলে তিনিসহ একটি দল হালদা পরিদর্শন করবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নমুনা ডিম ছাড়ায় বোঝা যাচ্ছে মা মাছ ডিম ছাড়তে প্রস্তুত। মাছগুলো প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখছে যে ডিম ছাড়ার পরিবেশ ও আনুষাঙ্গিক মানদণ্ডগুলো অনুকূল কিনা। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবেই ডিম ছাড়বে তারা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, এটা আনন্দের সংবাদ যে মা-মাছ হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে। এসব মাছের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। মা-মাছগুলো যাতে কেউ শিকার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে হালদায়। হ্যাচারিগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডিম থেকে রেণু ও পোনা তৈরির জন্য ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হালদা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, এমনও ঘটতে পারে যে মাছগুলো জোয়ারের সময় ডিম ছেড়ে দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিষয়ের ওপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই তাই সবকিছুই আসলে নির্ভর করছে সময়ের ওপর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট