চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

শহরে কাদা-মাটির সড়ক !

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মে, ২০২৩ | ১:১৬ অপরাহ্ণ

নগরীর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের ঘাসিয়ার পাড়া এলাকার হাজি আরবান আলী সড়ক। যেটাকে অধিকাংশ মানুষ ফুলতলা হিসেবেই চিনেন। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল দশায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সামান্য বৃষ্টিতে ৮-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত কাদা জমে এই সড়কে। তখন সড়কে হাঁটা তো দূরে থাক, রিকশা যোগেও চলাচল করা যায় না। প্রায় দুই সপ্তাহ এমন দুর্ভোগ সহ্য করার পর সড়কে চলাচল করার জন্য কয়েকদিন আগে মিলেছে বালুর বস্তা। তবে এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে ধর্না দিয়েছেন এলাকাবাসী। খালে চলমান থাকা জলাবদ্ধতার কাজ শেষ হলেই সড়ক সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়কের পার্শবর্তী খালে প্রায় ৬ মাস আগে রিটেইনিং ওয়ালের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে রাস্তাটি সংস্থার না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। পানি যাওয়ার কোন পথ না থাকায় আশপাশের এলাকাও পানিতে ডুবে ছিল। স্থানীয় মুদি দোকানদার জানান, খালের ওয়ালের নির্মাণ কাজ শেষে শিট পাইলগুলো খাল থেকে তুলে ১০-১২ দিন সড়কে রাখা হয়েছিল। শিট পাইলগুলো সড়কে রাখায় সেখানে হাঁটার মত কোন জায়গা ছিল না। এতে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

গত কয়েক দিন আগে হওয়া বৃষ্টিতে পুরো সড়ক পানিতে ডুবে ছিল। সড়কটিতে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার বলার পর গত কয়েকদিন আগে সড়কে বালুর বস্তা দিয়েছে।

জানতে চাইলে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম বলেন, চকবাজার ওয়ার্ডের ফুলতলা এলাকার ঘসিয়ার পাড়ার সড়কটি অনেক আগে থেকেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে। সড়কটি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে পানি যাওয়ার পথ না থাকা। সামান্য বৃষ্টিতেই ৮-৯ ইঞ্জি পর্যন্ত কাদা জমে যায়। এতে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষের চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই এলাকায় জলাবদ্ধতার কাজ চলমান থাকায় সড়কটি সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। তবে সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে এবং টিকাদারও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টিকাদারদের এই এলাকার অন্য সড়কে কাজ চলছে। জলাবদ্ধতার কাজ দ্রæত শেষ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে কাউন্সিলর বলেন, জলাবদ্ধতার কাজ চলমান থাকায় খাল থেকে শিট পাইল তুলে সেগুলো তারা সড়কে রেখেছে। এর ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিট পাইলগুলো সড়ক থেকে দ্রুত সরানোর জন্য মহল্লা কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের প্রকল্প পরিচালক বরারবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপর ঠিকাদাররা সড়ক থেকে শিট পাইলগুলো সরিয়ে নিয়েছে। এরপর চলাচলের সুবিধার্থে আমরা কিছু বালির বস্তা দিয়েছি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, খালের কাজ শেষ হলে শিট পাইলগুলো তুলে সড়কে রাখা হয়। শিপ পাইল নেয়ার গাড়ি দিনের বেলা প্রবেশ করতে পারে না। তাই মাঝেমধ্যে শিপ পাইল সরাতে কয়েকদিন সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে ১০-১২ দিন লাগার কথা না।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট