চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা হ রাউজান

২৮ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রেমের সূত্রে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. লিয়াকত আলী নামের এক বিবাহিত ব্যক্তিকে আটক করে রাউজান থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। সে পাশ্ববর্তী উপজেলা হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর গ্রামের জান আলীর বাড়ির মৃত হারুনুর রশিদের পুত্র। স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দেড়মাস আগে গহিরা দলইনগর এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে লিয়াকত আলীর সঙ্গে কোতোয়ালী ঘোনার ফয়েজ

চেয়ারম্যান বাড়ির জামশেদের ভাড়ায় বাসার বাসিন্দা সন্দ্বীপ উপজেলার কালানিয়া গ্রামের নোয়া বাড়ির দিনমজুর আবুল কালামের ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর সম্পর্ক হয়। পরিচয়ের পর থেকে দু’জনের মধ্যে মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সম্পর্কের সূত্র ধরে মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তার পরিবারে আসা-যাওয়া করতো সে। সর্বশেষ গত রবিবার রাতে লিয়াকত মেয়েটির বাড়িতে এসে তার সাথে রাত কাটান। পরদিন সোমবার সকালে মেয়েটির পরিবার লিয়াকতের সংসার (স্ত্রী, সন্তান) থাকার বিষয়টি জানতে পেরে তার সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন লিয়াকতকে আটক করে স্থানীয় গহিরা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। ঘটনার বিস্তারিত অবগত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা লিয়াকতকে রাউজান থানায় সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে প্রতারণার শিকার মেয়েটি সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত লিয়াকতকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে রাউজান থানা সূত্রে জানা গেছে। ওই কিশোরী জানান, লিয়াকত তার স্ত্রী, সন্তান থাকার কথা গোপন করে আমার সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে সম্পর্ক করে বাসায় এসে ধর্ষণ করেছে। রাউজান থানার (তদন্ত) কর্মকর্তা মীর হোসেন বলেন ‘মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে লিয়াকত। এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি লিয়াকতকে আদালতের মাধ্যমে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।’ তবে লিয়াকত পুলিশের হাতে আটকাবস্থায় ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন ‘বাসা বদলানো ও মেয়েটির বোনের বিষয়ে ডেকে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট