চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হেঁয়াকোয় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা : পড়শি চাচা গ্রেপ্তার

নিজস্বসংবাদদাতা , রামগড়

২৮ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

রামগড়ের পার্শ্ববর্তী উত্তর ফটিকছড়ির হেঁয়াকোতে স্থানীয় হাইস্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ এবং পরবর্তীতে শিশু কন্যাটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় আব্দুল বারেক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি। গত সোমবার রাতে ভিকটিমের মা রাহেনা আক্তার ভুজপুর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আব্দুল বারেককে গ্রেপ্তার করেছে।  মিয়ার ছেলে আব্দুল

বারেক প্রতিবেশীর শিশু কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১৩) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরমধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি অভিভাবকের নজরে আসে। মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি সব কিছু প্রকাশ করে দেয়। মেয়েটি বারেককে চাচা ডাকতো। এদিকে, ঘটনাটি গ্রামে জানাজানি হলে ধর্ষক বারেক আপোস করতে উঠে পড়ে লাগে। গত ২২ আগস্ট গভীর রাতে গ্রামের সর্দার নুরুল ইসলাম লাতু ও মঞ্জুরুল আলমের উদ্যোগে ঘটনাটি চাপা দিতে দফারফা করা হয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার জহির উদ্দিন জানান, ওই রাতে (রাত আনুমানিক আড়াইটা) সর্দার লাতু মোবাইল ফোনে কল করে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিস বৈঠকে আসার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু মেম্বার জহির তার এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। পরদিন এলাকায় প্রচার করা হয় বারেকের সাথে কন্যা শিশুটির বিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, এলাকাবাসী মেয়েটির স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে ঘটনাটি লিখিতভাবে জানায়। এর প্রেক্ষিতে স্কুল কমিটির সভাপতি ঘটনাটি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। গত সোমবার রাতে ইউএনও’র নির্দেশে দাঁতমারা ফাঁড়ির পুলিশ বারেককে তার বাসা থেকে আটক করে। ওই রাতেই মেয়েটির মা ভুজপুর থানায় গিয়ে বারেকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। জানাযায়, বারেক পেশায় বাবুর্চি এবং তিন সন্তানের জনক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট