চট্টগ্রাম সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে ফের উর্ধ্বমুখী

ইফতেখারুল ইসলাম

১৭ মে, ২০২৩ | ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

‘পেঁয়াজ আমদানি অনুমোদন (আইপি)’ দেয়া হবে বাণিজ্য সচিবের এমন ঘোষণার পরদিন গত সোমবার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কিছুটা কমে যায়। কিন্তু গতকাল ১৫মে পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ী আইপি না পাওয়ায় দাম ফের উধ্বমুখী।

 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আইপি পাওয়ার পরদিনই পেঁয়াজ চলে আসবে। সাথে সাথে দাম পড়ে যাবে। এই ভয়ে মোকাম থেকে পেঁয়াজ আনা কমিয়ে দিয়েছে বেপারিরা। তাই দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। গত ১৪ মে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে    কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছি। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।

 

এর আগে গত ১১ মে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ খান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস পূর্বকোণকে জানান, পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন (আইপি) দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে। সোমবার মানভেদে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমে। কিন্তু গতকাল থেকে ফের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়। গতকাল খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি দর কেজি মানভেদে ৬২ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকার আইপি যেদিন দেবে সেদিন থেকেই দাম কমে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

চাক্তাইয়ের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন আলো জানান, বাণিজ্য সচিব বলেছেন, পেঁয়াজ আমদানি খুলে দেয়া হবে। তাই তিনি পেঁয়াজ ক্রয় করেননি। শুধু তিনি নন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিতে চায়নি। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার কিনতে গিয়ে দেখেন কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেশি। কারণ আমদানির কথা শুনে মোকাম থেকে বেপারিরা পেঁয়াজ আনা কমিয়ে দিয়েছে। কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছে না। হঠাৎ আমদানি অনুমোদন দিলে দাম পড়ে যাবে তাই কেউ গুদামে পেঁয়াজের মজুদ করছে না। আমদানির ঘোষণা এক ধরনের সংকট তৈরি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। তাই বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও সংকট নেই।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট