চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফাইল ছবি

আদালতে কাঁদলেন বাবুল, হাত বুলিয়ে দিলেন ছেলে-মেয়ের মাথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ মে, ২০২৩ | ৬:৩০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন মিতুর বাবা ও সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার (২ মে) তৃতীয় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

 

এদিন মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের ভেতরে তাকে দেখতে আসেন বাবুল আক্তারের বর্তমান স্ত্রী মুক্তা। সঙ্গে আসেন বাবুলের ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির ও মেয়ে টাপুর। এ সময় ছেলে-মেয়েদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন বাবুল। তবে স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেন মহানগর কোর্ট পুলিশের কর্মকর্তারা। সঙ্গে সঙ্গে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। আদালতকে জানান তার একটি জরুরি কথা আছে। আদালত উত্তরে জরুরি বিষয় হলে বলার অনুমতি দেন।

 

এরপর কান্না করে আদালতকে বাবুল আক্তার বলেন, আমার স্ত্রী ও ছেলে অনেকদিন পর দেখা করতে আসছেন। পুলিশ কথা বলতে দিচ্ছেন না। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেন।

 

গত ১৩ মার্চ আলোচিত মামলাটিতে বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

 

তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।

 

এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

 

পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট