চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

দৈনিক পূর্বকোণের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, বায়েজিদ আংশিক) আসনের উপনির্বাচন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল মহাজোট প্রার্থী জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনে জয়ী হন মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুর পর এ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ ভোটার ভোট দেবেন। ১৯০ ভোটকেন্দ্রে ও ১৪১৪ ভোটকক্ষে ভোট প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে মাঠে সরব রয়েছে আওয়ামী লীগ, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামিক ফ্রন্ট প্রার্থী। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তিনপ্রার্থীই। তিনজনই চান অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। তিন প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখারুল ইসলাম ও মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

 

আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ

বাদল-মোছলেমের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে অগ্রাধিকার দিব

চট্টগ্রাম-৮ আসন (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচিত হলে প্রয়াত সাংসদ মইনউদ্দিন খান বাদল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ এই জনপদের উন্নয়নে যে কাজ করে গেছেন তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উন্নয়নকে আরো বেগবান করবেন। কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। তাই এর কাজ শুরু হতে খুব বেশি দেরি হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঈদের ছুটির কারণে শহরের কেন্দ্রসমূহে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হতে পারে। অপরদিকে বোয়ালখালীর কেন্দ্রসমূহে বেশি হতে এমন ধারণা থেকে বলেন, ভোটাররা যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে গ্রহণ করছে তাতে ৪০ শতাংশের অধিক ভোট পড়ার সম্ভাবনা আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি বিজয়ী হতে জনগণের সেবা করতে চান।

আমাকে মূল্যায়নের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি নতুন বার্তা দিয়েছেন। অর্থাৎ যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেন তাদের মূল্যায়ন হয়। তবে এজন্য ধৈর্য্য ধরে রাজনীতি করতে হয়। আগামী দিনে যারা সাহসীযোদ্ধা-রাজনৈতিককর্মী তাদেরও মূল্যায়ন হবে। অতীতের কিছু নেতৃত্ব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে রাজনীতিতে কিছু নতুন লোকের সমাগম যেমন ব্যবসায়ী কিংবা অন্যকোন পেশার লোক যারা রাজনীতিবিদের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তাদের কাছেও এটি একটি বার্তা যে, আওয়ামী লীগের কাছে অর্থ বিত্তের চেয়ে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বেশি মূল্যবান। তিনি নিজে মনোনয়ন পাওয়ার তৃণমূলের কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা দলে দলে এসে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কারণ তৃণমূলের কর্মীরা এতে আনন্দিত উল্লসিত। আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরাই দল তথা দেশকে এগিয়ে নিতে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবেন।

রমজানের কারণে নির্বাচন কমিশন প্রচারণা চালাতে আমাদের সময় দিয়েছেন দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এই সময়টা পুরো সময়ও ব্যবহার করা সুযোগ নেই। কারণ আমরা দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা সাড়ে ৫টার মধ্যেই প্রচারণার কাজ শেষ করতে হচ্ছে। ইফতারের সময় কিংবা এরপর ভোটারের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ এবং অল্প সময় বিশ্রাম নিয়ে তারাবিতে যেতে হয়। তাই সেসময় ভোটারের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। প্রচ- দাবদাহের মধ্যে নেতাকর্মীরা পরিশ্রম করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

এর মধ্যে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। শহরাঞ্চলের লোকজন গ্রামে চলে যাচ্ছে। তাই শহরের ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হতে পারে। তবে বোয়ালখালী অংশে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভাল থাকবে এমন আশা করে তিনি বলেন, যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের পরিবার পরিজন এবং স্বজনদের নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গেলেও অন্তত ৪০ শতাংশ ভোট পড়বে।

কালুরঘাট সেতু চট্টগ্রামের একটি আলোচিত বিষয়। আমাদের মরহুম সাংসদ মইনউদ্দিন খান বাদল এই সেতু নিয়ে সংসদের বক্তব্য রেখেছিলেন। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হওয়ার আগে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। যা এখন সংশোধন করা হচ্ছে। তবে আপাতত পুরোনো সেতু মেরামত করে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। আমরা সবাই জানি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের হাতে নিয়েছেন। তাই আমরা আশা করতে পারি অতি দ্রুততম সময়ে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কারণ এই প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে নিয়েছেন।

নির্বাচিত হলে অতীতে নেতৃবৃন্দ মইনউদ্দিন খান বাদল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বোয়ালখালীর উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উন্নয়ন কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করার জন্য ভোটারদের প্রতি নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

অন্য প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এখানে কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।

ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী আবদুস সামাদ

গোপন বুথে আরেকটি ভূত যাতে না ঢুকে

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেছেন ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রার্থী হয়েছিলাম। এরপর আর প্রার্থী হইনি। এখন মনে করছি, এই নির্বাচনে আমরা পাস করতে পারব। সেই মনোবৃত্তি থেকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কারণ এ নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের শেষ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। সরকার এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বরত সংস্থাগুলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। শেষ ভালো যার, সব ভালো তার-আমরা আশা করছি, শেষটা ভালো হবে।

নগরীর ৪নং ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এর আগে বোয়ালখালী পৌরসভার ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সরকার দল মনে করছে, আমরা ভালো ফলাফল করবো, তাই আমাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ভোটের গোপন বুথে আরেকটি ভূত যাতে না ঢুকে তা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। না হলে ভোটের প্রতি জনগণের আস্থা-আগ্রহ শতভাগ কমে যাবে। তবে নির্বাচন কমিশন এই ধরনের মারাত্মক অনিয়ম বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা আশাবাদী।

মোমবাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ। নির্বাচনের দিন পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আবদুস সামাদ বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি করেছিলাম। কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে ভোটকক্ষে ভূত বা অনিয়ম ধরা পড়বে। কিন্তু অর্থ সংকটের অজুহাতে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে না। অথচ গাইবান্ধায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চট্টগ্রামের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় বসানো হচ্ছে না। তা আমার কাছে রহস্যময় মনে হচ্ছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দাবি করে আসছে ইসলামী ফ্রন্ট। তিনি বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে আসছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলে আসবে। এই দুই মতবাদ আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। কারণ নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন, সরকার নয়। তাই নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আরও শক্তিশালী করার দাবি আমাদের।

জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে আবদুস সামাদ বলেন, ঈদের ছুটির কারণে মানুষ গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। শহর অংশে ২০-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হতে পারে। কারণ এখানকার ভোটারের বড় অংশ গ্রামে থাকবে। বোয়ালখালীতে ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলে ৪০-৪৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে আসবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এখানকার ভোটারের মধ্যে বেশিরভাগ স্থায়ী বাসিন্দা। ভোটের গোপন বুথে অন্য ভূত এসে ভোট না দিলে ভালো ভোট কাস্ট হবে। উপজেলা নির্বাচনে ১৬ শতাংশ কাস্ট হয়েছিল। পরিবেশ ভালো থাকলে ভালো ভোট কাস্ট হবে। বোয়ালখালীর ভোটের উপর নির্বাচনী ফলাফল নির্ভর করবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে ভোটের ফলাফল ভালো হবে।

নির্বাচনে তিন কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবদুস সামাদ।  তিনি বলেন, শহরের মানুষ ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। বিএনপির দলীয় লোকজন ভোটকেন্দ্রে আসবে না। উপজেলা নির্বাচনে আসেনি। এছাড়া একটি অংশ এই নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না। এবং হুমকি-ধামকির কারণে তারা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কালুরঘাট সেতু নির্মাণসহ ১২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভাগীয় সমাবেশে আমরা কালুরঘাট সেতুর দাবি করে আসছি।

ইসলামিক ফ্রন্ট প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন

আশা করছি, এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করবে না সরকার

কালুরঘাট সেতু নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি। সরকারও এ বিষয়ে ইতিবাচক। নির্বাচিত হলে সেতু দৃশ্যমান করায় দেনদরবার করতে পারবো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেতু নির্মাণে সরকারি উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্ট প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা এসএম ফরিদ উদ্দিন।

৬ এপ্রিল থেকে আমরা মাঠে আছি। জনগণ আশঙ্কা করছে, তারা ভোট দিতে পারবে কিনা। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করে আসছি। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসার আমাদের সুষ্ঠু পরিবেশের আশ্বাস দিয়েছেন। কারণ ৬-৭ মাস পর জাতীয় নির্বাচন আসছে। এ নির্বাচনকে কলঙ্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ করে আগামী নির্বাচনকে কলঙ্কিত করবে না সরকার। এই আশ্বাসে আমরা জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসার অনুরোধ করছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন।

গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, গত জাতীয় উপনির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটের কক্ষে অবাঞ্ছিত লোক ছিল। সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অতি উৎসাহিত হয়ে কাজটি করে। এতে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আশা করছি, এবার কাজটা হবে না। এসব কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রবিমুখ হয়ে পড়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কিছু অচেনা-অজানা বহিরাগত এসে ভিড় জমায়। মানুষ আর ভোট দিতে যায় না। এবার তা হলে প্রতিবাদ করবো। কারণ নির্বাচন বয়কট করা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য মঙ্গলকর নয়। আমরা গণতান্ত্রিক দল হিসেবে শেষপর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো।

গণতান্ত্রিক দেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইতিবাচক নয়। তাই আমরা স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই। নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমেরিকা ও ভারতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারলে আমাদের সমস্যা কোথায়। এখানে নির্বাচন কমিশন সরকারের উপর নির্ভরশীল। সরকারের বিপক্ষে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এজন্য স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এর ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করতে হবে।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে ইসলামিক ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ এসএম ফরিদ বলেন, জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে আসলে অপশক্তি পালিয়ে যাবে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার জন্য ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে। নিজেদের অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট