চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নাসিমন ভবনের সামনে পুলিশের ওপর হামলায় মামলা

বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন

আদালত প্রতিবেদক

২৬ আগস্ট, ২০১৯ | ২:০৯ পূর্বাহ্ণ

কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের সামনে ২০১৫ সালে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল জজ মোহাম্মদ আবদুল হালীমের আদালতে চার্জ শুনানি শেষে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এসময় অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সা. সম্পাদক আবুল হাশেম, দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম এবং জামায়াতের সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। অন্য অভিযুক্তরা বিএনপি-জামায়াতের কর্মী।

বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সমাবেশ ডাকে ২০-দলীয় জোট। তার আগের বছর একইদিনে অনুষ্ঠিত একদলীয় নির্বাচনের বর্ষপূর্তির প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয় বলে ২০-দলীয় জোট ঘোষণা দেয়। সভা চলাকালে পুলিশের সঙ্গে জোট কর্মীদের সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আসলাম চৌধুরীসহ ৩০২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসলাম চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলায় দ-বিধি, বিস্ফোরক আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারায় অভিযোগ এনে পুলিশ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গতবছর ৪ জুলাই তিনটি আইনের পৃথক ধারায় পৃথক তিনটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। একইবছর ৯ সেপ্টেম্বর আদালত চার্জশিটগুলো গ্রহণ করেন। গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের মামলায় চার্জগঠন করা হয়। অন্য দুই মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ শুনানিতে বলেন, আসামিরা দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে পুলিশের উপর হামলা করে। তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলিও ছোঁড়ে।

অপরদিকে, শুনানিকালে অভিযুক্তদের পক্ষে এডভোকেট কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে এ মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আন্দোলন ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা হয়েছিল। পুলিশ সেদিন ৬০০ রাউন্ড গুলি করেছে, আসামিরা চালায়নি। তাই এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পড়ে না। আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেও তিনি শুনানিতে উল্লেখ করেন।

মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে জামিনে থাকা অভিযুক্তরা সকাল থেকে আদালত ভবনের দুই তলায় জড়ো হতে থাকে। অভিযুক্তদের পক্ষেও অর্ধ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন শুনানিতে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনাল পিপি ছাড়াও অন্যান্য আদালতের পিপি, অতিরিক্ত পিপিগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট