চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হাতপাখার কদর বেড়েছে প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

দুপুর ১২টার দিকে মিজানুর রহমান মিজান অর্ধশত হাতপাখা নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল এলাকায় আসেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় তার সবকটি হাতপাখা। প্রচণ্ড গরমে কাহিল মানুষের কাছে হাতপাখার কদর বেড়েছে। সুযোগ বুঝে বিক্রেতা মিজানও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেলের গোল চত্ত্বরের সামনে দেখা হয় মিজানুর রহমানের সাথে।

 

আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি মৌসুমী ব্যবসায়ী, বছরের বেশিরভাগ সময় কোকারিজের জিনিসপত্র বিক্রি করি। কিন্তু এ সময় কোকারিজের পণ্য তেমন বেচাবিক্রি হয় না। তাই গরম দেখেই হাতপাখার ব্যবসা শুরু করেছি।’

 

মিজান বাঁশখালী থেকে ১০০ পিস হাতপাখা নিয়ে আসেন। ৫০ পিস আগের দিনই বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি ৫০ পিস নিয়ে তিনি আসেন মেডিকেল এলাকায়। আসা মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় সব কয়টি হাতপাখা। হাতপাখাগুলো কিনেছেন দূর-দূরান্ত থেকে মেডিকেলে রোগী নিয়ে আসা রোগীর আত্মীয়রা। গরমে বাজে অবস্থা মেডিকেলে ভর্তি অসুস্থ রোগী ও তাদের আত্মীয়দের। সেই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে তারা কিনছেন হাতপাখা। হাতপাখা কিনতে আসেন মুসাব্বির হক। তিনি বলেন, নোয়াখালী থেকে বাবাকে নিয়ে আজ চারদিন চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছি। বাবা  স্ট্রোক করেছেন। মেডিকেলের যে পরিবেশ, তাতে অসুস্থ বাবার সাথে এসে আমরা বাকি দুইজনও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। যে গরম পড়ছে মনে হচ্ছে প্রাণটা যায় যায়। মেডিকেলের ওয়ার্ডের ভিতর ফ্যান চলছে ঠিকই। কিন্তু ফ্যানের বাতাস আগুনের মত লাগছে। আসার পরে এখান থেকে কাপড়ের একটা হাতপাখা কিনেছিলাম। কিন্তু তাতে বাতাস লাগে না। তাই বাবার ওষুধ নিয়ে ফিরতে দেখেই ৮০ টাকা দিয়ে একটা হাতপাখা কিনে নিলাম।

 

মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নকশা করা একটি হাতপাখা ১১০ টাকা, জোড়া ২১০ টাকা এবং নকশা ছাড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কিছু বাঁশ দিয়ে তৈরি করা। কিছু তালপাতা দিয়ে তৈরি। তালপাতার হাতপাখা প্রতিটি ১৫০ টাকা। বাঁশের হাতপাখা ও তালপাতার হাতপাখার বাতাস বেশি ও শীতল। তাই এ দুইরকমের হাতপাখার চাহিদা বেশি।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট