চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘মুজিব নগর সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বীকৃতি পায়’

অনলাইন ডেস্ক

১১ এপ্রিল, ২০২৩ | ৪:১০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক দিবস পালন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যেগে আলোচনা সভা সোমবার (১০ এপ্রিল) নগরীর দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও আবদুল মালেক খানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশী, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মো. কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, রাজীব চন্দ, মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, আশফাক আহমেদ, এস. এম রাফি, রিমন চৌধুরী আরমান, প্রদীপ দাশ প্রমুখ।

 

সভায় প্রধান আলোচক বেদার বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক মূহুর্তে ১০ এপ্রিল সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক সরকার গঠিত হয়েছিল। যা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার নামে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদারদের নির্বিচারে গণহত্যা ও ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাংলাদেশ বহির্বিশ্বের কাছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সরকার গঠন হবে তা অকল্পনীয় ছিল পাকিস্তানিদের কাছে। কিন্তু দোর্দণ্ড প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। গঠন করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার। সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। এই অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই পরিকল্পিত কায়দায় মুক্তিবাহিনীকে সংগঠিত ও সমন্বয় সাধন করে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করেছিল মুজিব নগর সরকার।

সভায় বক্তারা ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ নিয়ে যেকোন ধরনের কটুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট