চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গাছবাড়িয়া-ধোপাছড়ি সড়ক সংস্কারের দাবি

চন্দনাইশ

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

২৬ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ

উপজেলার গাছবাড়িয়া-ধোপাছড়ি সড়কের ওপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হয়ে সড়কের পদ্মার ডেবা এলাকায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে সড়কটি ছৈয়দাবাদ এলাকা পেরিয়ে গাছবাড়িয়া-ধোপাছড়ি সড়কের মোচাবন্যা পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। গত অর্থবছরে সড়কটি সংস্কার করার পর চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলে পদ্মারডেবা এলাকায় সড়কের কার্পেটিং ও মেকাডাম উঠে গিয়ে সড়কে পানি জমে থাকে।

সেইসাথে সড়কের একপাশে বিশাল আকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

পাহাড় থেকে শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফল-ফলাদি আনার সময় অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা, জিপ ও গাড়ি চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সকল গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়কটির আরো বেশ কয়েক জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এ এলাকার শত শত মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক হচ্ছে গাছবাড়িয়া-ধোপাছড়ি সড়ক। এ এলাকার জনসাধারণের জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এলাকাবাসী সড়কটি পুনরায় সংস্কারের মাধ্যমে এ এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকা থেকে শাক-সবজি, তরি-তরকারি, ফল-ফলাদি আনার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান। এ সড়ক দিয়ে চন্দনাইশ পূর্ব ছৈয়দাবাদসহ পাহাড়ি এলাকার শত শত মানুষ চলাচলের পাশাপাশি শাক-সবজি, তরি-তরকারি, ফল-ফলাদি এনে চন্দনাইশসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সড়কের পাশে থাকা দোকানপাটগুলো বৃষ্টির কাদাপানিতে ময়লাযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। পদ্মার ডেবাসহ বিভিন্ন এলাকায় গর্তে পরিণত হয়ে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এ কারণে যানবাহন চলাচলের সময় রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের কাপড়-চোপড় ময়লা পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ির চালকদের অভিযোগ, সড়কের বেহাল দশার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।

জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কটি জরুরিভাবে সংস্কার করা অত্যাবশ্যক। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আগামীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট