চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মার্চ, ২০২৩ | ২:৩৬ অপরাহ্ণ

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় সিআইডির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নাকচ করে পিবিআইকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদ এর আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়।

 

এর আগে মামলার বাদী দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আগের তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেন নি। তাই বিষয়টির পেছনের সত্যতা বের করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।

 

চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, দিয়াজ হত্যা মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে।

 

প্রায় ছয় বছর তদন্ত শেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া। সেদিনই দিয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়।

 

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দক্ষিণ ক্যাম্পাসে নিজের বাসা থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ।

 

দিয়াজের মৃত্যুর তিনদিন পর ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের দেওয়া প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করা হয়। তার ভিত্তিতে হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

 

মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সে সময়ের সভাপতি আলমগীর টিপু, সে সময়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, তাদের অনুসারী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে আসামি করা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট