চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কের কাজে ধীরগতি

২৫ আগস্ট, ২০১৯ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

১২৫ কোটি টাকার প্রকল্প

উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশাল বরাদ্দের উপর প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্কের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন তৎপরতা নেই। জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্কের উন্নয়নে সম্প্রতি ১২৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। জাতীয় অর্থ পরিষদের পাশকৃত এ বরাদ্দের অর্থে চট্টগ্রাম বন বিভাগের তত্ত্ববধানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে শেখ রাসেল এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্ক একটি সমৃদ্ধ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পার্কে নতুন ২ টি কৃত্রিম হ্রদ নির্মাণ, রোপ ওয়ের এক কিলোমিটার সম্প্রসারণে ক্যাবল কারে ভ্রমণের আওতা বৃদ্ধি, ৫ টি পাখির খাঁচা, চতুর্দিকে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ, গাড়ীর পার্ক নির্মাণ, আভ্যন্তরীন সড়কের উন্নয়ন ও একটি হ্রদের সংস্কারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, সর্বমোট বরাদ্দের ৭৬ অংশ অর্থে প্রকল্পের বাস্তবায়ন খাতে এবং ২৪ অংশ অর্থ স্টাফদের বেতন ভাতাসহ আভ্যন্তরীন উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে। বড় অংশের ব্যয়ের জন্য প্রকল্পসহ চট্টগ্রাম গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ প্রাক্কলন তৈরি করে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে। আগামী ২০২০ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে গণপুর্ত অধিদপ্তর প্রাথমিক পর্যায়ে পার্কের সীমানায় কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ, গাড়ি পার্কিং ও পুরাতন একটি হ্রদে ধারক দেয়াল নির্মাণে সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি পার্কিং এবং কাঁটা তারের বেড়া নির্মান প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। হ্রদে ধারক দেয়াল নির্মাণ কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। চলমান কাজের প্রকল্প এলাকায় প্রকল্পের কার্যক্রমের উপর কোন সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়নি। এভিয়ারি এন্ড ইকো পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও র্ঙ্গাুনিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এবং নিয়োজিত অন্যান্য বন কর্মীরা প্রকল্প কার্যক্রমের খবর জানেন না বলে জানিয়েছেন, তাদের প্রতি কার্যক্রম তদারকির কোন নির্দেশনা নেই। চট্টগ্রাম গণপূর্ত প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কের টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্দেশনা মতে কাজের তদারকি করছি। প্রকল্প কাজের সাইন বোর্ড বিষয়ে জানা নেই। এদিকে ইকো পার্কের গাড়ী পার্কিং স্পট নির্মানের কাজে মাটি কেটে কোদালা বনরেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় ও সমতল ভূমি উজাড় করার অভিযোগ উঠেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট