চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন: হলফনামা বিশ্লেষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নোমানের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নোমানের নগদ টাকার পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯২ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নোমানের জমা রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা আর স্ত্রীর নামে আছে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা। নোমানের ব-, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৬০ হাজার টাকার। নোমানের স্থায়ী আমানত না থাকলেও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার আমানত রয়েছে। নিজের নামে দেড় লাখ টাকার স্বর্ণাংলকার রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে। ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও নয় লাখ ৬০ হাজার টাকার অন্যান্য মূলধন রয়েছে নোমানের।

 

আওয়ামী লীগ নেতা নোমান আল মাহমুদের পেশা ব্যবসা। ব্যবসা থেকে তার বছরে আয় চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। নির্ভরশীলদের আয় তাও চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। নিজের নামে কোনো দায়-দেনা না থাকলেও স্ত্রী শামীমা আকতারের নামে ৪০ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে।

 

স্থাবর সম্পদের মধ্যে নোমান আল মাহমুদের নিজের নামে কোনো জায়গা-জমি বা সম্পদ নেই। স্ত্রীর নামে ৩১৫ বর্গফুটের এজমালী স্থাপনাসহ ভিটা ভূমি রয়েছে। তবে যৌথ মালিকানা সম্পদের মধ্যে এজমালি ও অংশিদারি সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

 

১৯৭০ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগ ও পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন নোমান আল মাহমুদ। ৭৪ সালে শহর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৮৭ সালে মহানগর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ৫৩ বছরের রাজনৈতকি জীবনে বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকাদ্দমা নেই বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

কোটি টাকার মূলধন সামাদের, স্ত্রীর ৪০ লাখ টাকা

আয় আর ধনে-সম্পদে ভরা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদের। তার পেশা ব্যবসা। তা থেকে তার বার্ষিক আয় আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যয় চার লাখ ৭৫ হাজার ৪০৬ টাকা।

 

তার কোনো দায়-দেনা না থাকলেও স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে লোহাগাড়ায় দুই কানি পৈত্রিক সম্পদ রয়েছে। যার মূল্য পাঁচ লাখ টাকা। পূর্ব নাসিরাবাদের কসমোপলিটনে ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেভিংস, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর রয়েছে ২১ লাখ আট হাজার ৭৫০ টাকার।

 

কৃষি খাত থেকে তার আয় ৫৮ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত রয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। নগদে নিজের নামে আছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৭৪২ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ১০ লাখ ৯ হাজার ৫৫৩ টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে আছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৮ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৭ টাকা। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত নিজের নামে রয়েছে ৬ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ৩ লাখ টাকার। জমি বিক্রি করেছেন ৬৩ লাখ টাকার। নিজের নামে স্বর্ণালংকার আছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকা।

 

এছাড়াও স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের নামে দুই কানি পৈত্রিক জমি ও ফ্ল্যাট ছাড়াও এক কোটি টাকার মূলধন রয়েছে। এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪০ লাখ টাকার মূলধন। আবদুস সামাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। তার নামে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই।

ফরিদ উদ্দিনের নগদ টাকা আছে ২ লাখ ২০ হাজার, স্ত্রীর ২০ হাজার

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের পেশা শিক্ষকতা। তিনি বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম কামিল (এমএ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। শিক্ষকতা পেশা থেকে তার বার্ষিক আয় ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষকতা ছাড়া তাঁর ও নির্ভরশীলদের আর কোনো আয় নেই।

 

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কাছে নগদ জমা আছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ফরিদ উদ্দিনের জমা আছে ছয় লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে এক লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে। নিজের নামে ৪০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৪০ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে। এছাড়াও নিজের নামে ছয় লাখ টাকার ও স্ত্রীর নামে দুই লাখ টাকার অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে।

 

স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের নামে একটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য তিন লাখ টাকা। এছাড়াও পৈত্রিক বাড়ি রয়েছে।

 

এসএম ফরিদ উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা কামিল পাস। তার কোনো ঋণ নেই। নেই মামলা-মোকদ্দমা।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট