চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উৎপাদক-আমদানিকারকরা পণ্যের রশিদ দিচ্ছেন না

ইফতেখারুল ইসলাম

২৮ মার্চ, ২০২৩ | ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

ভোগ্যপণ্যের মিল মালিক এবং আমদানিকারকরাই পণ্যের বিক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা পূর্বকোণকে জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানি এবং উৎপাদন দেশের ৫ থেকে ৭টি শিল্প গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনা মহামারীর পর ছোট আমদানিকারকরা আরো বেশি ছিটকে পড়েছেন। বিশেষ করে ডলার সংকট তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিক এবং আমদানিকারকের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করে। কিন্তু এসময় তাদেরকে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ দেয়া হয় না বলে তাদের অভিযোগ। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট পাইকারি বাজারসমূহে অভিযান পরিচালনা করে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না পাওয়ার দায়ে কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতাকে জরিমানা করেন। অভিযান এখনো নিয়মিত চলছে। এর মধ্যে মেসার্স ফেরদৌস ট্রেডিং, মেসার্স এম কে ট্রেডিং, পি এল এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স আজাদ সিন্ডিকেট, আর এম এন্টারপ্রাইজসহ খাতুনগঞ্জের বেশকিছু পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাছে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বলেছেন, তারা পণ্য বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারকদের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করেন। কিন্তু এসব পণ্য ক্রয় করার সময় উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারকগণ তাদেরকে কোন প্রকার বিক্রয় রশিদ প্রদান করে না। যার কারণে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই পণ্য ক্রয়ের সময় উৎপাদনকারী এবং আমদানিকারকগণ যাতে তাদেরকে ক্রয় রশিদ প্রদান করে সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, সিস্টেমে আসা ভালো। মিল মালিক যদি রশিদ না দেয় তাহলে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা রশিদ কোত্থেকে দেবে। মিল মালিক এবং আমদানিকারকের উচিত বিক্রয় রশিদ দেয়া। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে বাণিজ্য সচিবের নজরে এনেছেন। ম্যাজিস্ট্রেট পাইকারি বাজারে গিয়ে রশিদ দেখছেন এটা যৌক্তিক। রশিদ দেয়ার বিষয়টি যাতে উৎপাদনকারী এবং মিল মালিকদের থেকে শুরু হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক। জানতে চাইলে পূর্বকোণকে তিনি বলেন, শুধু পাইকারি বাজারে নয় মিল মালিক এবং আমদানিকারকদের কাছে যাবেন তিনি। তারাও যেন বিক্রয় রশিদ দেন সেটি নিশ্চিত করার বিষয়ে তাদেরকে বার্তা দেবেন।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট