চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাশ্রয়ী শত কোটি টাকায় ভাঙনরোধে নতুন প্রকল্প

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২৩ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর তীর সংরক্ষণ, প্রতিরক্ষা বাঁধ ও ড্রেজিং প্রকল্পে প্রায় ৯৭ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। মূলত ইছামতি নদীর ড্রেজিং করতে না পারায় এই টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এখন সেই সাশ্রয়ী টাকাসহ ১৩৫ কোটি টাকা দিয়ে রাঙ্গুনীয়া ও বোয়ালখালী অংশে ভাঙনরোধে নতুন প্রকল্প নিচ্ছে পাউবো। ২০১৮ সালে ৩৯৬ কোটি নয় লাখ ৭৭ হাজার টাকার এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (রাঙামাটি বিভাগ) তয়ন কুমার ত্রিপুরা পূর্বকোণকে বলেন, ‘ইছামতি নদী ড্রেজিং করতে  না পারা ও প্রতিরক্ষা কাজ থেকে প্রায় ৯৭ কোটি ৭ লাখ সাশ্রয় হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাশ্রয়ী টাকাসহ ১৩৫ কোটি টাকা দিয়ে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।’

 

২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদন হয় প্রকল্পটি। নভেম্বরে জিও অনুমোদনের পর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ২০১৮ সালে কর্ণফুলী নদীর তীর সংরক্ষণ, প্রতিরক্ষা বাঁধ ও ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যেই তীর সংরক্ষণ-বাঁধের কাজ শেষ। কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং কাজও শেষের পথে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কর্ণফুলী ও ইছামতি নদীর তীর সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ এবং ড্রেজিং কাজের তিনশ ৯৬ কোটি নয় লাখ ৭৭ হাজার টাকার প্রকল্প নেয়া হয়। এরমধ্যে নদী ড্রেজিং প্রকল্পের বরাদ্দ দুইশ কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

 

প্রকল্পে কর্ণফুলী ও ইছামতি নদীর ১৬ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করার কথা ছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশা প্রণয়নের ভুলে ইছামতি নদী ড্রেজিং অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু কর্ণফুলী নদীর কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট থেকে নাজিরচর এলাকা পর্যন্ত ড্রেজিং করা হয়।

 

পাউবো সূত্র জানায়, ইছামতি নদীর তীরে পাউবোর প্রতিরক্ষা বাঁধ, লেগুলেটর, সওজের সেতু, বিআরডিসির রাবার ড্রেম রয়েছে। এসব স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ইছামতি নদীর ড্রেজিং প্রকল্প বাতিল করা হয়।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথি বলছে, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরে সাত কিলোমিটার অংশে ভাঙনরোধে প্রতিরক্ষার কাজ হয়। ইছামতি নদীর উভয় তীরে তিন কিলোমিটার প্রতিরক্ষার কাজ হয়। শিলক ও বিভিন্ন শাখা খালের আড়াই কিলোমিটার প্রতিরক্ষার কাজ হয়। কর্ণফুলী নদীর ১০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হয়। ইছামতি নদীর ৬ কিলোমিটার ড্রেজিং করার কথা ছিল। এসব প্রকল্পে ৯৭ কোটি ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা সাশ্রয় হয়। সাশ্রয় হওয়া টাকায় রাঙ্গুনীয়া ও বোয়ালখালী অংশে ভাঙনরোধে নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। এজন্য ১৩৫ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

যেসব এলাকায় হচ্ছে নতুন প্রকল্প :

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনীয়ার মিরাজপাড়া, গোলাম বেপারির হাট, বেতাগি ঘুনঘুনিয়া, বেতাগি কাউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাচা বাবার মাজার সংলগ্ন উজানে জেলেপাড়া, বেতাগি কাউখালী, ডোবাঘাট, ডংখাল, মুসলিমপাড়া, সরফভাটা, জুটমিল এলাকা। আর বোয়ালখালীর ভা-ালজুড়ি ঘাট থেকে বড়ুয়াপাড়া, জ্যৈষ্ঠপুরা ফতেয়ারখীল, শ্রীপুর বসাকপাড়া, ভা-ালজুড়ি ব্রিজ থেকে হাটখোলা। ইছামতির খীল মোগল, মনু বৈদ্যবাড়ি, গোয়াসপাড়া, সোনাইছড়ি বড়–য়াপাড়া, সোনাইছড়ি মাতৃমন্দির এলাকা। রাঙ্গুনীয়ার শিলক খালের পদুয়া থেকে সাতবাড়িয়া, মরিয়মনগর, কাউখালী খাল, শিলক চেয়ারম্যান বাড়ি, সুখবিলাস গরুঘাটা, বামছড়া এলাকা।

পূর্বেকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট