চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

অনুদানের এক্স-রে মেশিন পড়ে আছে বারান্দায় !

ইমাম হোসাইন রাজু 

২০ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাক্সবন্দী অবস্থায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে রয়েছে বিদেশি অনুদানে পাওয়া আধুনিক মোবাইল এক্স-রে মেশিন। প্রায় আড়াই মাস পূর্বে পাওয়া মেশিনটি চালু না করার কারণে একদিকে যেমন সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা, অন্যদিকে মূল্যবান এই আধুনিক যন্ত্রটি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অনুদান হিসেবে পেলেও মেশিনটি স্থাপন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই এখন পর্যন্ত তা সচল করা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই এ নিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমএসডি থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।  স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রোগ্রামের আওতায় অনুদান হিসেবে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু মোবাইল বা পোর্টেবল এক্স-রে পাঠানো হয়। যা গত ৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে দেশের সর্বমোট দশটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরমধ্যে একটি পায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ওষুধাগার সিএমএসডি থেকে পাঠানো এক্স-রে মেশিনটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এলেও তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখন পর্যন্ত বুঝে পায়নি। তা বুজিয়ে না দিয়ে বরং মূল্যবান এ যন্ত্রাংশটি হাসপাতালের খোলা বারান্দায় রেখে দেয়া হয়েছে দীর্ঘদিন। আর এভাবে পড়ে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ এ এক্স-রে মেশিনটির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

 

রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের ইনচার্জ লিয়াকত আলী বলেন, ‘একটি মোবাইল এক্স-রে মেশিন এসেছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা তা বুঝে পাইনি। তাছাড়া বিভাগের অন্য মেশিন সচল রয়েছে। তাই এখন প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন হলে এটিও ব্যবহার করা হবে।’

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রোগ নির্ণয় বিভাগে (রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং) একটি পোর্টেবেল এক্স-রে মেশিন চালু আছে। কোভিডকালে পাওয়া মেশিনটি আইসিইউতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে ভর্তিরত গুরুতর রোগীদের এক্স-রে’র প্রয়োজন হলেও তাদের রেডিওলজি বিভাগে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হয়। এছাড়াও জনবল না থাকায় অফিস চালাকালীনের বাইরে গিয়েও রোগীরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

 

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ ‘সম্প্রতি জাপানের অনুদানে একটি মোবাইল এক্স-রে মেশিন এসেছে। কিন্তু এটি কারা স্থাপন করবে সিএমএসডি থেকে এ সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। স্থাপন করতে হলে খরচের বিষয় আছে, সেটি কারা দেবে? যেহেতু সরকারি বিষয়, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু করাও যাবে না। আশা করছি খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আসলেই আমরা মেশিনটি চালু করে দেবো।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট