চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রান্না নয়িে ঝগড়া: রুমমটেরে রডরে আঘাতে রুমমটে নহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৯ | ৯:২৭ অপরাহ্ণ

নগরীর ইপিজেডে রান্না করাকে কেন্দ্র করে রুমমেটের কাঁচের গ্লাসের আঘাতে মো.সুজন মুন্সি (২০) নামে আরেক রুমমেট নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকার দারুস সালাম মসজিদের পাশের একটি ভাড়া মেসে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে আহতবস্থায় মো.সুজন মুন্সিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় কয়েকঘন্টার মাথায় সুজন হত্যায় জড়িত তার বন্ধু সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে ইডিজেড থানা পুলিশ। হত্যায় ঘটনায় ব্যবহৃত কাঁচের গ্লাসটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুমন শেখ (২৪) বাগেরহাট জেলার বাগের থানাধীন পাদুর পাড়া গ্রামের শেখ বাড়ির মরহুম আব্দুল সালাম শেখের ছেলে। নিহত সুজন মুন্সি খুলনা জেলার সদর থানাধীন লবনচোরা গ্রামের জামাল মুন্সির ছেলে। তিনি তাওয়াল হেভেন ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন।
গ্রেপ্তার সুমনের বরাত দিয়ে ইপিজেড থানার পরিদর্শক (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, সুজন এবং সুমন একই বাসায় থাকতো। পালা করে একদিন সুমন রান্না করলে অন্যদিন সুজন রান্না করতো। দুজনে ভাল বন্ধু ছিলো। গতকাল (শনিবার) সুমনের রান্না করার কথা ছিলো। কিন্তু সে করেনি। এ নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুজনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে সুমনের আঙ্গুল কামড়ে ধরে সুজন। এসময় হাতের কাছে থাকা কাঁচের গ্লাস দিয়ে সুজনকে আঘাত করে। আহত সুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিকেলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এক যুবককে অজ্ঞানরত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তৌহিদ, হেলাল ও শরীফুল নামের তিন যুবক। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মো. সুজন মুন্সিকে নিহত ঘোষণা করেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই তিন যুবকের কাছে আঘাতের সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে যেতে চান। বলেন, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সন্দেহ হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জানান, রান্না করার সময় ঝগড়া হয় সুজন ও সুমনের মাঝে। একপর্যায়ে সুমন সুজনের মাথায় আঘাত করে। পরে আহতবস্থায় সুজনকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট