টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার দুই রোহিঙ্গা আসামি পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৯টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া যায়।

নিহতরা হলেন জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো: শাহ (৩৭) ও আবদু শুক্কুর (৪০)। এ ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য আহত হন।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ পূর্বকোণকে বলেন, ‘গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদীমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা আহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ দুইজন অবৈধ অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য নিহতদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় টেকনাফ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

পূর্বকোণ/পলাশ