চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাকলিয়ায় ভবনের পানির ট্যাংকে তরুণের লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ আগস্ট, ২০১৯ | ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সাখাওয়াত ফাহিম (২১) নামে এক তরুণের গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চকবাজার থানাধীন ডিসি রোডের আবু কলোনির পাশে আবুল কাশেমের ভাড়া ঘরের দোতলা একটি ভবনের পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত তিনদিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ফাহিম। নিহত ফাহিম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বলিরহাট এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি নগরীর বন্দর এলাকার একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও পরিবার।
পুলিশ জানায়, ফাহিমের বাবা নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বলির হাট এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেখানে তার ছোট এক ভাই ও বোনসহ সবাই থাকলেও ফাহিম ডিসি রোডের আবুল কালাম সর্দারের পেছনে তার চাচার বাড়িতে এসে মাঝেমধ্যে থাকতেন। ২০ আগস্ট সকালে চান্দগাঁওয়ের নিজ বাসা থেকে থ্রি-কোয়াটার পেন্ট ও টিশার্ট পড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বের হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় চকবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন তার পরিবার। এরমধ্যে গতকাল শুক্রবার ডিসি রোডের টিনসেডের ওই বাসার পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে বাড়ির বাসিন্দারা ভেতরে ফাহিমের গলিত লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২০ থেকে ২২ টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যা কোন ছুরি দিয়ে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ভবনের একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক থেকে গলিত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ মেরে এখানে ফেলে গেছে। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বিস্তারিত বলা যাবে’।
পরিবার জানায়, ফাহিম নগরীর দেওয়ানহাট সিটি কর্পোরেশন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। কিন্তু নিয়মিত পড়াশোনায় না করায় তার চাচা তাকে বন্দরের একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে দেয়। চাকরির সুবাদে সে তার চাচার বাসায় থাকতো বলেও জানায় পরিবার।
ফাহিমের চাচা মো. আলমগীর পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমার মা-বাবা আমার বাসায় থাকার কারণে, ফাহিম এসে এখানে থাকতো। পড়াশোনা না করায় তাকে গত ৬/৭ মাস আগে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টে চাকরি দেয়া হয়। মাঝেমধ্যে সে মাদক সেবন করতো এমন কিছু কয়েকদিন আগেই টের পেয়েছি। হয়তো যাদের সাথে সেবন করেছে, তারাই তাকে ডেকে নিয়ে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেছে’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট