সাতকানিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের এ নেতাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে মাদকাসক্ত এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তি হলেন মো. জানে আলম জামাল (৪৪)। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী ব্যক্তি পলাতক রয়েছে। গতকাল জুমার নামাজ শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রমতে, গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ মাদার্শা বায়তুর রহমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মাদার্শা ইউনিয়নের খামার পাড়ার মৃত মফজল আহমদের ছেলে জানে আলম জামাল বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদার্শা ইয়াজর পাড়ার মৃত আমির হামজার ছেলে আবু সুফিয়ান মুছা নামে এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি তাকে অতর্কিত দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন জামালকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করেন।

এব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রকিবুল হাসান তুহিন জানান, মাথা ও হাতে দায়ের কোপে আহত জানে আলম জামাল নামে এক ব্যক্তিকে হসপিটালে আনা হয়েছিল। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। তবে আহতের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে।

এব্যাপারে আহত আ. লীগ নেতা জানে আলম জামালের ছোট ভাই হারুনুর রশিদ জানান, আমার বড় ভাই নামাজের পর কবর জিয়ারত শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় মুছা দা হাতে নিয়ে এসে আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, মুছার সাথে আমার ভাইয়ের কোন বিরোধ নাই। কি কারণে এ ঘটনা আমরা আসলে বুঝে উঠতে পারছি না।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিউল কবীর বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলম জামালকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই অভিযুক্ত মুছা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ কোন ধরনের অভিযোগ বা মামলা করেনি।