চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শীঘ্রই আলোরমুখ দেখবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ন হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে এবার খুব শীঘ্রই আলোরমুখ দেখতে যাচ্ছে স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ন হাসপাতাল। ইতোমধ্যে চীনের প্রতিনিধি দল এ নিয়ে কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই তারা স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করবেন।

 

গতকাল (রবিবার) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ১৫০ শয্যার বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

 

সভা শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, চীনের সহায়াতায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত একটি বার্ন হাসপাতাল হবে। এটি অত্যাধুনিক। আধুনিক একটি অস্ত্রোপচার কক্ষ থাকবে সেখানে। আইসিইউসহ অন্যান্য আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। জায়গাটি বুঝিয়ে দিতে পারলে একমাসের মধ্যে তারা পাইলিং শুরু করবে বলে জানিয়েছেন। জায়গাটি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা সেখানে বসবাস করছেন তারা মুচলেকা দিয়েছেন দখল ছেড়ে দেবেন। ফলে এ নিয়ে আর জটিলতা থাকছে না।

 

সভায় চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বার্ন হাসপাতালের নকশাসহ বিভিন্ন বিষয়াদি তুলে ধরেন। বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল সংক্রান্ত পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেন তারা। এসময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, চমেক হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টি সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রসঙ্গত চীনের অর্থায়নে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চমেক হাসপাতালের গোয়াছি বাগান এলাকায় ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নির্মাণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে আসেন চীনের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা ইতিমধ্যে চমেক হাসপাতালের গোয়াছিবাগান এলাকার জমিটি পরিদর্শন করেছেন। এই জায়গায় হাসপাতাল করতে তারা আগ্রহী। সবকিছু ঠিক থাকলে ১০ মার্চ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে।

পূর্বকোণ/একে

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট