চট্টগ্রাম বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩

৪ মার্চ, ২০২৩ | ১২:১০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দু’বছরের মধ্যেই প্রস্তুত হবে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল

দীর্ঘ অপেক্ষার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যে জায়গা নির্বাচনের পর নকশা তৈরিতেও কাজ করছে চীনা প্রতিনিধি দল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ বিশেষায়িত এ বার্ন হাসপাতাল প্রস্তত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে দু’বছর পর থেকে পোঁড়া রোগীদের পূর্ণাঙ্গ সেবা মিলবে চট্টগ্রামে। এদিকে, চীনের অর্থায়নে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষায়িত এ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আগামী ৯ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১০ মার্চ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে। চীনা প্রতিনিধিরাও বলছেন- দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু করবেন তারা।

 

অন্যদিকে, বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকার স্থান পরিদর্শনসহ যাবতীয় বিষয় তদারকি করতে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল তিনি কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামে আসা চীনা প্রতিনিধি দল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকও করেছেন। পরে গোঁয়াছি বাগানে প্রস্তাবিত স্থান ঘুরে দেখেন সকলে।

 

এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট স্থাপনে অনেক কাজ এগিয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে যেন আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা যায়, চলছে তারই প্রস্তুতি। বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট নির্মাণের যাবতীয় বিষয় তদারকি করতে চট্টগ্রামে এসেছি। আমার সাথে একজন স্থপতিও নিয়ে এসেছি। এখানে একটি দেড়’শ শয্যার বার্ন ইউনিট নির্মাণ করা হবে। চীনা প্রতিনিধি দল সবকিছু দেখছেন। আমাদের এখন একমাত্র চাওয়া যতদ্রুত সম্ভব এটি বাস্তবায়ন করা। বার্ন ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক সকল সেবাই থাকবে এখানে। আমরা চাই চট্টগ্রাম থেকে যাতে রোগীদের ঢাকামুখি হতে না হয়।’

 

প্রায় এক একর জায়গায় নির্মাণ করা হবে বার্ন হাসপাতাল। তবে প্রস্তুাবিত স্থানে এখনো নানা স্থাপনা রয়েছে। যদিও এসব স্থাপনা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করে চীনকে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘চীনা প্রতিনিধি দল বিভিন্ন সংস্থার সাথে বসে সবকিছু যাচাইবাছাই করছে। তারা বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট নির্মাণ কার্যক্রমের যাবতীয় বিষয় আমাদের কাছে তুলে ধরেছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবনাও তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। সকল পক্ষের সাথে বৈঠক করে যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর স্থাপনাগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সরিয়ে নেয়া হবে।

পূর্বকোণ/একে

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট