চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

জাহাজ কম, তাই যৌক্তিক হারে বার্থিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত বন্দরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যার প্রভাবে প্রায় সময় বন্দরের জেটি জাহাজ শুন্য থাকতে দেখা যাচ্ছে। এতে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে উল্লেখযোগ্য হারে কনটেইনার জাহাজ কমে যাওয়ায় সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। যার সমাধানকল্পে বন্দরের সিসিটি ও এনসিটিতে বার্থিংয়ে বরাদ্দ হওয়া কনটেইনার জাহাজ যৌক্তিক হারে জিসিবিতেও বার্থিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

গত ১২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর এন্ড টার্মিনাল অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে বৈঠকে নানা সমস্যার কথা শুনে যৌক্তিক হারে কনটেইনার জাহাজ বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে সেটি বন্দরের বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদনের পর তা কার্যকর হওয়ার বিষয়েও জানানো হয়। শ্রমিকদের কাজ কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকট প্রসঙ্গে বার্থ অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর এন্ড টার্মিনাল অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা ও দেশে ডলার সংকটের কারণে আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক জাহাজ আসাও কমে গেছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের ৬টি কনটেইনার জেটিতে কখনো কখনো ১/২টি জাহাজ বার্থিং পাচ্ছে। এতে বার্থ অপারেটরদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি, কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনযাপন কঠিন অবস্থায়। গত কয়েক মাসে এই পরিস্থিতি চলমান থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে, এতে শ্রমিক অসন্তোষের শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। তাই বন্দরের সিসিটি ও এনসিটির ন্যায় জিসিবিতেও সমান হারে কনটেইনার জাহাজ বার্থিং দেওয়া প্রয়োজন।

পূর্বকোণ/একে

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট