চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কার্যক্রম শুরু বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ মার্চ, ২০২৩ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের নির্মাণ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চট্টগ্রামে আসেন পাঁচ সদস্যের চীনা প্রতিনিধি দল। তারা প্রকল্প এলাকায় পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এতে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেন চীনা দল।

 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনা প্রতিনিধি দল বার্ন হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত  গোয়াছি বাগানের জায়গাটি পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে জায়গা তাদের পছন্দ হয়েছে। এখন জায়গাটি শুধু অবৈধ দখলমুক্ত করে দেওয়ার জন্য চীনা দলটির দিক থেকে তাগিদ রয়েছে।

 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল স্থাপনের পথে এক ধাপ এগিয়েছে। চীনা দলের জায়গা পছন্দ হয়েছে। আট দিন তারা চট্টগ্রামে অবস্থান করে ১৫০ শয্যার হাসপাতালটির জায়গার মাপা, নকশার কাজ, নির্মাণ সামগ্রীর দাম যাচাইসহ বিভিন্ন কাজ এগিয়ে নেবে। হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে ১০ মার্চ ঢাকায় সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এরপর তারা কাজ শুরু করে দিতে চায়। এ ছাড়া এই সফরে চট্টগ্রামে তারা সিটি কর্পোরেশন, পিডিবি, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে  বৈঠক করবে।

 

জানা যায়, ১৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে দুটি অস্ত্রোপচার কক্ষ থাকবে। এ ছাড়া ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং ২৫ শয্যার হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) থাকবে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য আলাদা ইউনিট থাকবে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও  তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এসব জটিলতা কাটিয়ে এখন নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রায়ই বড় বড় অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পৃথক আইসিইউ শয্যা না থাকায় গুরুতর রোগীদের ঢাকায় পাঠাতে হয়।

পূর্বকোণ/একে

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট