চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

একুশ দিনে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বই বিক্রি

‘চট্টগ্রামে বইমেলা আরও বড় পরিসরে হবে চব্বিশে’

রাজীব রাহুল

১ মার্চ, ২০২৩ | ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ

২০২২ সালে অমর একুশের বইমেলায় একশ বিশটি স্টলকে ছাড়িয়ে এবার দেড়শ স্টল নিয়ে বইমেলার আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। চব্বিশে ঢাকার আদলে প্যাভেলিয়ন স্টাইলে আরও বড় পরিসরে মেলা আয়োজন করতে চাই। চট্টগ্রামের বইমেলায় মানুষের কাছে যেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে তাতে আমাদের আরও বড় জায়গা দরকার। পলোগ্রাউন্ডের মাঠেও আয়োজন করা যায়। বর্তমান যে জায়গায় বইমেলা আয়োজন করা হয় আমরা সেটা মেলার কয়েকদিন আগে বরাদ্দ পাই। প্রকাশকদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয় মেলার দু এক দিন আগে। কারণ এটা সিজিএসকের মাঠ। এখানে নানা প্রোগ্রাম থাকে। আসলে আমরা যদি একটি বড় মাঠ পাই তাহলে আগে থেকে সময় নিয়ে এই মেলাকে আরও বেশি জমজমাট ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যাবে। সমাপণী অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ও তথ্যমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে আগামীবার আরও বড় পরিসরে ও বড় বাজেটে মেলা আয়োজন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বইমেলা প্রাঙ্গনে পূর্বকোণ বুথে ‘বইমেলার ভালো মন্দ ’ শীর্ষক আড্ডায় এমন কথা বলেন বইমেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। পূর্বকোণ অনলাইনের আয়োজনে লেখক আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলীর সঞ্চালনায় এই আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, লেখক ও সিএমপির ট্রাফিক উত্তরের উপ পুলিশ কমিশনার জয়নুল টিটো ও আবির প্রকাশনের স্বত্তাধিকারী মো.নরুল আবছার।

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন : https://fb.watch/iZYSiivq6O/

আড্ডায় আলোচকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, ১১০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মেলার আয়োজন করে চসিক। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একুশ দিন ব্যাপী এই মেলায় ঢাকার ৫২টি ও চট্টগ্রামের ৫৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। একুশ দিনব্যাপী এই মেলায় ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস বলেন, মেলায় স্টল বরাদ্ধ দেয়া হয় লটারির মাধম্যে । এখানে কোন প্রকার কারচুপির সুযোগ নেই। ২১ তারিখ ২টি স্টলে পাইরেসি বই পাওয়াতে তাদের এসব বই সড়িয়ে নিতে বলা হয়েছে।

লেখক ও সিএমপির ট্রাফিক উত্তরের উপ পুলিশ কমিশনার জয়নুল টিটো বলেন, আমি প্রায়ই মেলায় এসেছি। আমার মনে হয়েছে সববয়সী মানুষের পাশাপাশি তরুণদের উপস্থিতি মেলায় বেশি। মেলা আয়োজনে কিছু ক্রুটি চোখে পড়েছে । আয়োজক কমিটি চাইলে সেসব ক্রুটি আগামীবার কাটিয়ে উঠতে পারে।

আবির প্রকাশনের স্বত্তাধিকারী মো.নরুল আবছার বলেন, বাংলাদেশের কোন সিটি করপোরেশন বইমেলা আয়োজন করেনা । শুধুমাত্র চসিক তাদের কাজের বাইরে গিয়ে বইমেলা আয়োজন করে। হ্যাঁ মেলার প্রচারে কিছুটা ঘাঠতি আছে। তবে আগে থেকে পরিকল্পনা করে প্রচার করলে বইমেলা আরও সমৃদ্ধ হবে।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট