চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাকির হোসন সড়কজুড়ে আবর্জনা

দশ দিন ধরে দেখা নেই পরিচ্ছন্ন কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট, ২০১৯ | ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

 

পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে গত ১২ আগস্ট। এরপর থেকে নগরীর প্রবেশদ্বার খ্যাত জাকির হোসেন রোডে ঝাড়ু দিতে দেখা যায়নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের। এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের প্রশ্ন, শুধুমাত্র ঈদুল আযহার আবর্জনা পরিষ্কার করলেই হবে? ঈদের পরে কি পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ নেই ?
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন অংশে আবর্জনা এবং ধূলাবালি পড়ে আছে। ঝাড়– দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের লোক থাকলেও

তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।

এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীদের অভিযোগ, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের নজরদারির অভাবে ঝাড়–দাররা এই সড়কে নিয়মিত ঝাড়– দেন না। বিশেষ করে গত ঈদের পর থেকে এই সড়কে ঝাড়–দারদের দেখা যায়নি। তাতে সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে কাগজ, প্লাস্টিক, গাছের ঝরাপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা। অথচ সিটি মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়কে ঝাড়– দেয়ার কথা রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ এবং রাতের বেলা রাস্তা ঝাড়– দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার পর সড়কটি নিয়মিত পরিষ্কার হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম শ্লথ হয়ে এখন এম পর্যায়ে পৌঁছেছে সড়কের দুইপাশে নানা আবর্জনা পড়ে থাকে। কোথাও কোথাও সড়কের পাশে আবর্জনা রেখে ডাস্টবিন বানানো হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যদি নিয়মিত পরিষ্কার করতেন তাহলে মানুষকে ভোরে উঠে সড়কের পাশে আবর্জনা দেখতে হতো না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী পূর্বকোণকে বলেন, ঈদের পরে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ছুটি দেয়া হয়নি। প্রতিদিন ঝাড়– দেয়ার কথা। তারা দায়িত্বে অবহেলা করছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে।
আর তাতেই মুসলমান এবং অন্য সংখ্যালঘুরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ‘আপনি যদি চাকরির জন্য আবেদন করেন আর আপনি যদি মুসলিম হন, তাহলে ঐ চাকরি হয়তো আপনি পাবেন না। পরিচয়পত্র বা নাগরিক কার্ড নবায়ন করা এখন মুসলমানদের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মানবাধিকার কর্মী খিন সান্ডার নিজেও এ নিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পরিচয়পত্র নবায়ন করতে গিয়ে আমার দু’বছর লেগেছে। অথচ বৌদ্ধরা দু’সপ্তাহ বা বড়জোর ২৮ দিনের ভেতরে তা পেয়ে যায়।’
আমি যখন আবেদনপত্র পূরণ করছিলাম, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বুঝে ফেলেন যে আমি মুসলমান। তিনি আমার মুখের ওপর বললেন, তুমি একজন ‘কালায়া’, আমি তোমার কাজ করে দেবো না। মিয়ানমারে মুসলমানদের ছোটো করতে ‘কালায়া’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। প্রচ- কষ্ট পেয়েছিলাম, রেগে গিয়েছিলাম।’
‘রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর পর থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে, আর মানুষও যেন তাদের ধর্মীয় পরিচয়কে বড় করে দেখতে শুরু করেছে – অমি বৌদ্ধ, আমি খ্রিষ্টান, আমি মুসলিম …।’
নেতাদেরকে উঁচু নৈতিক মূল্যবোধ লালন করতে হবে, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে সমাজে বৈচিত্র্য গ্রহণযোগ্য, সুন্দর।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট