চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মৎস্যজীবী ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ

আনোয়ারায় ইলিশ বোঝাই গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আনোয়ারা

২৩ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় সিন্ডিকেট কর্তৃক ইলিশ মাছের মৌসুমকে কেন্দ্র করে মাছ বোঝাই ও বরফভর্তি গাড়ি থেকে টাকা আদায়ে তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে মৎস্যজীবী ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম বিরোধ আকার ধারণ করেছে। এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে যেকোন প্রকার গাড়ি থেকে টাকা আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন একটি সিন্ডিকেট প্রভাব কাটিয়ে মৎস্যজীবীদের থেকে টাকা আদায় করলেও দেখার কেউ ছিল না।
জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের খোদ্দ গহিরা গ্রামে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ রয়েছে। বেড়িবাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। দোভাষী বাজারের পশ্চিম দিক থেকে উঠান মাঝির ঘাট পর্যন্ত খোদ্দ গহিরার এ উপকূলীয় এলাকাটি মৎস্যজীবীদের প্রাণকেন্দ্র। সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা ইলিশগুলো উঠান মাঝির ঘাট থেকে গাড়ি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ দেয়া হয়। এই এক কিলোমিটার জায়গায় স্থানীয় ৩০ জনের প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট বেড়িবাঁধের ওপর প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই ইট বসিয়েছে। কিছু বালির বস্তাও দিয়েছে। ২টি পাকা কালভার্টও নির্মাণ করেছে। তাছাড়া বাঁধের পার্শ্বে একটি টোল আদায়ের জন্য টিনশেড ছোট্ট একটি ঘরও রয়েছে। এ অংশে চলাচল করা মাছের প্রতি গাড়ি থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা, মাছের ঝুড়ি বা টুকরি থেকে ৭০/৮০ টাকা, বরফভর্তি প্রতি গাড়ি থেকে ৬শ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। কেউ প্রতিবাদ করলে সিন্ডিকেট গ্রুপের হাতে লাঞ্ছিত হয়। দীর্ঘ ২ মাস ধরে মৎস্যজীবীদের থেকে এভাবে টাকা আদায় করা হলেও বিষয়টি কারো নজরে আসেনি। হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলেই ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট