চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘চলতি বছর থেকেই বাস্তবায়ন হবে দু’বছরের পরিকল্পনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ২:৫৪ অপরাহ্ণ

সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ দুই বছর পূর্তি। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

 

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে তিনি পূর্বকোণকে বলেন, গত দুই বছরে তিনি কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিকল্পনার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। যা এবছর থেকে বাস্তবায়ন হতে শুরু করবে। বেশকিছু আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে স্বাবলম্বী হবে সিটি কর্পোরেশন।

 

দুই বছরের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণে সফলতা না আসার কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা প্রকল্প সিটি কর্পোরেশনের অধীনে নেই। যেহেতু খাল-নালাসমূহে কাজ চলছে। বদ্ধ পানিতে মশার বংশ বিস্তার বেড়েছে। তবে অন্যান্য খাতসমূহে সফলতা আছে। সরকারি অর্থায়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। যা সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এছাড়া ১৩শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প এবং বিশ্ধসঢ়;¦ব্যাংকের ২৬২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প এনেছেন। সৌন্দর্যবর্ধনের দিকে মনোযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে পার্ক এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ কিছু ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে। বেশকিছু আয়বর্ধক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় এসব প্রকল্প অনুমোদন দিলে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন স্বাবলম্বী হবে। আয় বাড়বে। সেই টাকা দিয়ে আরো বেশি উন্নয়ন কাজ করা যাবে।

 

নতুন বছর থেকেই গত দুই বছরের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, তা শতাংশের হারে বলা যাবে না। গত দুই বছর কিছু বাস্তবায়নের পাশাপাশি সার্বিক পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

 

গত দুই বছরের দৃশ্যমান কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, রাস্তাঘাট চলাচল উপযোগী করেছেন। পরিচ্ছন্নতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়কে এখন আবর্জনা পড়ে থাকে না। ইনসিনারেশন প্লান্ট বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হয়। পোর্ট কানেকটিং সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরাকান রোড, স্ট্যান্ড রোডের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেগুলো সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করেছি।

 

স্বাস্থ্য খাতে মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের উন্নয়ন করে অতীতে সুনাম ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। ১১০০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। যেখান থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি তার আমলে গত দুই বছরে পরিশোধ করেছেন। তার আমলের কোন বিদ্যুৎ বিল বাকি রাখছেন না।

 

আলোচিত গৃহকর প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যারা এর বিরোধিতা করছে তারা বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা করছে। ২০১৭ সালে যে কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল তা বাড়ি মালিকদের সামর্থ্যরে বাইরে ছিল একথা ঠিক। কিন্তু আপিলের মাধ্যমে তা সহনীয় পর্যায়ে আনা হচ্ছে। বাড়ি মালিকরা স্বানন্দে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন। যাদের গৃহকর দেয়ার সামর্থ নেই তাদের মওকুফ করে দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে তিন লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল করিম চৌধুরী।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট