চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা : তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৪ জনকে হাজির করতে পরোয়ানা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

২০০৩ সালে বাঁশখালীর সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৪ জন সাক্ষীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, মামলার অভিযোগপত্রে ৫৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এখনো মামলার সাক্ষীদের মধ্যে চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩৪ জন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। জেলা পুলিশ সুপারকে মামলার বাকি সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামিরা হলেন : আব্দুল করিম ওরফে কালা করিম, জাবেদ হোসেন, আহম্মদ মিয়া ওরফে তোতাইয়া, মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব আলী, মো.হাসান ওরফে আর্মি হাসান, সরওয়ার উদ্দিন, মো.শাহজাহান, আবু তৈয়ব, আকবর ওরফে আকবর আলী, শাহজাহান ওরফে দুলা মিয়া, আমিনুল হক, আহম্মদ হোসেন, মতলব, শফিউল আজম, জসিম, নজরুল ইসলাম, আমিনুর রহমান চৌধুরী ওরফে আমিন চেয়ারম্যান, আমিনুল হক ওরফে আমিনিক্যা, আনু মিয়া, সেলিম, বক্কর, রুবেল, আবু, অজি আহম্মদ, আজিজ, আজগর ওরফে রুবেল, জসিম, এনাম, লেদু, কামরুল ইসলাম, আমির হোসেন, ইউনূছ, আবুল কালাম, নূরুন্নবী ওরফে কালাইয়া, মেম্বার রশিদ আহম্মদ, আব্দুল নবী ও চেয়ারম্যান সবুর আহম্মদ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ার তেজেন্দ্র লাল শীলের ঘরে গান পাউডার মেরে আগুন দেওয়া হয়। এতে নারী-শিশুসহ ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরদিন ১৯ নভেম্বর তেজেন্দ্র লাল শীলের ছেলে বিমল শীল বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় ডাকাতি, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। বর্তমানে মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৮ আসামির মধ্যে একজন হাজতে রয়েছেন। এছাড়া ১৮ জন জামিনে এবং বাকি ১৯ জন এখনো পলাতক।

 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি মামলার অষ্টম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ডাকাতির উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ, খুন ও লুটপাটের অভিযোগে ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলায় সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের নতুন অভিযোগ আনেন রাষ্ট্রপক্ষ।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট