চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সীতাকুণ্ডে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের চেষ্টা, প্রতারক গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৫:১৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক যুবকের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে অপহরণের চেষ্টাকালে এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভাটিয়ারি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তার প্রতারক আবদুল করিম বগুড়া জেলার মহিষবাতান গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবদুল করিম নামক ওই প্রতারক হাতে একটি ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে গত দশ দিন ভাটিয়ারি এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলে একটি গাড়িতে তুলে নিতো। পরে গাড়িতে তাদের জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা ঘুষ আদায় করে ছেড়ে দিতেন। সম্প্রতি এরকম কয়েকটি অভিযোগ আসে ভাটিয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নাজিম উদ্দিনের কাছে। তিনি পুলিশের সাথে কথা বলে জানতে পারেন এসব ঘটনার সময় কোন পুলিশ সেখানে দায়িত্ব পালন করেনি। প্রতারণার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তিনি এলাকাবাসীকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেন।

 

গতকাল সোমবার রাতে ওই প্রতারক আবারও ভাটিয়ারি এলাকায় এসে স্থানীয় আরেক যুবককে আটক করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে বাধা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ তাকে আটক করার পরামর্শ দেয়। পরে পুলিশ এসে আব্দুল করিম নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

 

ভাটিয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতারক আবদুল করিম গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন যুবককে ডিবি পরিচয়ে আটক করে তাদের গাড়িতে তুলে মারধর করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে। ঘটনাটি জানার পর আমি থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারি সে আসলে একজন প্রতারক। সোমবার রাতেও একইভাবে এক যুবককে আটক করে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে এলাকাবাসী আমাকে জানায়। আমি এসে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশে খবর দিয়েছি। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রতারক আবদুল করিমের প্রথম টার্গেট ছিলো মাদক ব্যবসায়ীরা। সে নিজেকে কখনো ডিবি, কখনো এনএসআই কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে প্রতারণা করতো। সে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেছে, গত ১৫ দিন ধরে সে এসব করছিলো এবং প্রতারণার মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করেছে। যদিও আমাদের মনে হয় সব মিথ্যা বলছে সে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট