চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বছরের ব্যবধানে গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩.৩৭%

ইফতেখারুল ইসলাম

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

বছরের ব্যবধানে চার ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম গড়ে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। বাজারের নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত এসব গুঁড়ো দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় পুষ্টি সংকটে পড়বে তাদের শিশুরা।

 

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন পূর্বকোণকে বলেন, আমাদের মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত লোকজন যারা তরল দুধ কেনার সামর্থ নেই তারা এসব গুঁড়ো দুধ তাদের শিশুদের কিনে খাওয়ায়। এখন তাও তাদের নাগালের বাইরে চলে গেল। দাম বেড়ে যাওয়ায় নিন্ম আয়ের শিশুদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারবে না। সরকারের উচিত টিসিবি কিংবা অন্যকোন সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে দুধ বিক্রি করা। তিনি বলেন, দেশ তরল দুধ উৎপাদনে বেশ এগিয়ে গেলেও গুঁড়ো দুধের অধিকাংশ চাহিদা আমদানি করেই মেটানো হয়। যদিও মিল্ক ভিটা, আড়ং কিছু গুঁড়ো দুধ উৎপাদন করে। টিসিবি’র তথ্যমতে, এক বছর আগে ডানো ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম ছিল কেজি ৬৫০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৪০ থেকে ৯০০ টাকায়। বছরের ব্যবধানে এই দুধের দাম বেড়েছে ৩০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফ্রেশ ব্রান্ডের দুধের দাম ছিল ৫৮০ টাকা হতে ৫৯০ টাকা। একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ৪০ দশমিক ১৭ শতাংশ। ডিপ্লোমা (নিউজিল্যান্ড) ব্রান্ডের দাম ছিল কেজি ৬৪০ থেকে ৬৭০ টাকা। যা বেড়ে হয়েছে ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ২৭.৪৮ শতাংশ বেড়েছে। মার্কস দুধের দাম ছিল ৫৮০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা। যা বছরের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা হতে ৮২০ টাকা। এই সময়ের ব্যবধানে এই ব্রান্ডের দুধের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। এই চার ব্রান্ডের দুধের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম জেলা শিল্প এলাকা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম জাহান জানান, গুঁড়ো দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি এখন লাল চা পান করেন। মূলত খরচ কমাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে শরীরও ভাল থাকে। অর্থও বাঁচে। বহদ্দারহাটে ভোগ্যপণ্যের একাধিক দোকানির সাথে আলাপকালে তারা জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এখন অনেক হিসাব করেই গুঁড়ো দুধ কিনে।

 

ক্যাব সহ-সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত বছর যে ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে তা তার আগের বছরের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ ডলার সংকটের কথা বলা হলেও পণ্য আমদানি হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে চায়। তারা শুধু পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্ষান্ত হয়নি। সরকার থেকে আরো নানা সুবিধা নিতে চায়।

 

জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের  পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক পূর্বকোণকে বলেন, আমাদের দেশে তরল দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হল জনপ্রতি দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার। কিন্তু আমাদের উৎপাদন হয় ২০৮ মিলিলিটার। বৈশি^ক কারণে বাংলাদেশে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তরল দুধের দামও কিছুটা বেড়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট