চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ধর্ষণের অভিযুক্ত যুবক আটক

১০ দিন পর উদ্ধার অপহৃত কিশোরী

নিজস্ব সংবাদদাতা, রোয়াংছড়ি

৪ মে, ২০১৯ | ১০:০৯ অপরাহ্ণ

রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে বান্দরবানে হোটেলে নিয়ে ১০ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশ ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে ।
অভিযোগে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন থেকে অপহরণ করে ওই যুবক ২ মে পর্যন্ত আত্মগোপন করেছিলেন। ১০ দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় অপহরণকারী ওই যুবকসহ ভিক্টিম ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, রোয়াংছড়ি উপজেলার ১ নং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চিংঞামুখ পাড়ার বাসিন্দা নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রীটিকে তারাছা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঘেরাউমুখ পাড়ার বাসিন্দা অংশৈমং মারমার ছেলে উশৈসিং মারমা (২৫) ফুসলিয়ে বান্দরবান শহরে নিয়ে যান। পরে শহরের মাস্টার গেস্ট হাউসে কর্মরত উশৈসিং মারমার আপন ছোট ভাই থোয়াইহ্লাচিং মারমার সহযোগিতায় ওই গেস্ট হাউসে বিনামূল্যে থাকেন। মাস্টার গেস্ট হাউসে ৫ দিন থাকার পর স্থান পরিবর্তন করে চলে যান অতিথি বোর্ডিংয়ে। ছাত্রীর পিতা বলেন, রোয়াংছড়িতে পড়ালেখা করানোর জন্য ছোট ভাইয়ের মেয়ের সাথে ক্যজো পাড়ার বাসায় আমার মেয়েকে রেখেছিলাম। হঠাৎ আমার ছোট ভাই ২৩ এপ্রিল রাত পৌনে ১২টার দিকে আমাকে মেয়ের নিখোঁজের খবর জানায়। আমি উপায়ান্তর না দেখে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাইনি। নিখোঁজের ১০ দিন পর শুনি এক ছেলে আমার মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। তাই আমরা কয়েকজন মিলে পুলিশসহ বান্দরবান থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বাস স্টেশন থেকে তাদের আটক এবং মেয়েকে উদ্ধার করেছি।
রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগকারী উশৈসিং মারমাসহ ভিক্টিমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আসামি উশৈসিং মারমার বিরুদ্ধে ভিক্টিমের বাবা অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট