আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরের মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রেডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউ’তে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিহা পারভীন পূর্বকোণকে জানান, এই বৈঠকের মাধ্যমে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি মনোরেল, পাহাড়ে ক্যাবল কার করা যায় কিনা সবকিছু যাচাই করে দেখা হবে।
তিনি জানান, অনিবার্যকারণবশতঃ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কালকের (আজ মঙ্গলবার) বৈঠকে উপস্থিত হতে পারছেন না। তবে তিনি অনলাইনে যুক্ত থাকবেন। তবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ কামরুল হাসান পূর্বকোণকে জানান, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি কোরিয়ানরাই করবেন। তবে তাদের সাথে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ’র লোকজন কাজ করবেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান এন্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন অব চট্টগ্রাম মেট্রোরেল এরিয়া শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় ৬০ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে দিচ্ছে কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কেওআইসিএ)। বাকি ১৩ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। কেওআইসিএর অর্থায়নে চট্টগ্রাম নগরকেন্দ্রিক মেট্রোরেল নির্মাণ এবং চট্টগ্রামের পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংস্থার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো উদ্দেশ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য পরিবহন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, যানজটমুক্ত সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালুর উদ্দেশ্যও রয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মেট্রোরেল এবং পরিবহন অবকাঠামো খাতে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
পূর্বকোণ/পিআর