৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:২২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাক আহমেদ পেশায় একজন দারোয়ান। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের শাহ আমানত টাওয়ারে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করে মাস শেষে যা আয় হয় তাতে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’ অবস্থা। ছয়জনের সংসারের বোঝা টানতে হিসশিম খাওয়া মোস্তাকের মাথায় বাজ পড়লো ছয় মাস আগে। যখন ছোট ছেলে আরমান উদ্দিনের (১৮) হাঁটুতে বোন ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সারের কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি আরমান। অথচ সে পড়তে চায়, বাঁচতে চায়। তার বাঁচার আকুতির সামনে অসহায় দরিদ্র পিতা।
সহায় সম্বল বিক্রি ও ধারদেনা করে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন ভারতে। ততোদিনে ক্যান্সার ছড়িয়ে গেছে ফুসফুস পযর্ন্ত। সেখানকার ডাক্তারদের পরামর্শে গত সপ্তাহে দেশে ফিরে কেমোথেরাপি নিচ্ছে আরমান। ২১ দিন পরপর কেমো থেরাপি নেওয়া ও হাসপাতালের বিল মেটানোর মত সাধ্য নেই আরমানের বাবার।
আরমানের ভাই ইরফান উদ্দিন জানান, আমি নিজেও শিক্ষার্থী। সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। এখনো সংসারে আর্থিক কোন সহযোগিতা করতে পারি না। আরও ৬টি কেমোথেরাপি দেয়ার পর আরমানকে আবারও ভারতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানকার ডাক্তাররা বলেছেন, একটু উন্নতি হলে পায়ের অপারেশন করে তাকে সুস্থ করা যাবে। আমাদের এখন আরও ৪ লাখ টাকার মতো প্রয়োজন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাজ্জাত মোহাম্মদ ইউসুফের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। এই মুহূর্তে কারও মানবিক সহযোগিতা আমার ভাইটাকে বাঁচাতে পারে।
বোন ক্যান্সার আক্রান্ত মো. আরমান উদ্দিন আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাক আহমেদের ছেলে। সে রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যোগাযোগ ০১৯৩৭৮৯১৩১২ (ইরফান উদ্দিন).
পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ