চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চসিক প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে ঢুকে ঠিকাদারদের হামলা, মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৭:২৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকের কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালিয়েছেন একদল ব্যক্তি। তাঁরা প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরও করেছেন। রোববার (২৯ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৪টার দিকে নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয় ভবনের চারতলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে এই হামলা হয়। এই সময় প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভেঙে ফেলা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ নগরের আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভা ছিল। সভা শেষে বেলা পৌনে ৪টায় টাইগারপাসে অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে আসেন প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানী।

আক্রান্ত এই প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, কাজ না দেওয়ায় একদল ঠিকাদার তাঁর ওপর এই হামলা চালিয়েছে। কার্যালয়ে বসার পরপরই অনুমতি ছাড়া প্রায় ২০-২৫ জন ঠিকাদার তাঁর কক্ষে ঢুকে পড়েন। কথা বলার এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলে পড়েন ঠিকাদাররা। এ সময় তাঁরা উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। অফিস সহকারী তিলক দে তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন। প্রায় ১০ মিনিটের মতো মারধরের পর হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান। প্রকল্পের কাজ না পাওয়ায় ঠিকাদাররা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন গোলাম ইয়াজদানী।

চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকে স্বচ্ছতার মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এরা হয়তো মনে করেছে বিভিন্নভাবে কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। আমি আগেও বলেছি স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে কাজ করা হবে। পিডি ভয়ভীতিতে মাথানত করেন না। ওরা হয়তো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাজ পাননি। তারা প্রকল্প পরিচালককে মারধর করেছেন, ভাঙচুর করেছে। আমরা অবশ্যই মামলা করবো, অ্যাকশনে যাবো । সিসি ক্যামেরার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে ছেলেটার নেতৃত্বে এসেছে তাঁর নাম সাহাবুদ্দিন।  

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনার পর পর থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার কারণ ও কারা জড়িত  খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গোলাম ইয়াজদানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেওয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গত বছরের ১৪ আগস্ট তাঁকে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।

 

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট