চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মিলেনি ঠিকাদার, বাড়ছে মেয়াদ

মিজানুর রহমান

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

মেয়াদ শেষ হতে চললেও ১ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে পারেনি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। এই কাজে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই অবস্থায় ঠিকাদার নিয়োগে ফের দরপত্র আহ্বান এবং ডিপিপি সংশোধন করে প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ।

 

 

আবাসিক পর্যায়ের ১ লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে কেজিডিসিএলের নেওয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন পায় ২০২১ এর মে মাসে। ১ বছর পর ২০২২ এর মে মাসে এই প্রকল্পের জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

 

এরপর গত আগস্টে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে জাপানের পানি ও গ্যাসের মিটার উৎপাদন ও বিক্রয় কোম্পানি টয়োকিকি কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মিটার উৎপাদন ও বিক্রয় কোম্পানি হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড অংশ নেয়। তবে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় গত ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কেজিডিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাদের আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

 

২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মেয়াদ রয়েছে ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত। সেই হিসাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আছে মাত্র পাঁচ মাস। ফলে এখন ঠিকাদার নিয়োগে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যেও কাজ করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার নিয়োগে ফের দরপত্র আহ্বান, ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি, ডিপিপি সংশোধনের পরই মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

 

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- এসব প্রক্রিয়া শেষ করে মাঠ পর্যায়ে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করতে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারণ ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ডিপিপি সংশোধনের কাজ- দুটিই সময় সাপেক্ষ। আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে লাগতে পারে ২০২৫ এর জুন পর্যন্ত। সেই হিসাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ অন্তত ২ বছর বাড়াতে হবে। মেয়াদ বাড়লে প্রকল্পের ব্যয়ও কিছুটা বাড়তে পারে।

 

 

জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা পূর্বকোণকে জানান, দরপত্রে অংশ নেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানেরই কাগজপত্রে ত্রুটি ছিল। টয়োকিকির মিটার তুলনামূলক ভালো হলেও হেক্সিংয়ের মিটারটিও নিম্নমানের। এ কারণে তাদের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে কেজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদ। এখন এই প্রকল্পের জন্য ঠিকাদার নিয়োগে ফের দরপত্র আহ্বান করা হবে। কাজের মানের প্রশ্নে আমরা কোনোভাবেই আপস করবো না।

 

 

তিনি বলেন- প্রকল্পের অবশিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তাই প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তবে আগে ঠিকাদার নিয়োগ করে পরে ডিপিপি সংশোধন করা হবে। কারণ আগে ডিপিপি সংশোধন করে ফেললে প্রকল্প বাস্তবায়নে ফের জটিলতা তৈরি হতে পারে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে চাই আমরা।

 

 

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ১ লাখ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দিতে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন নিচ্ছে কেজিডিসিএল। তবে এখন পর্যন্ত আবেদন করেছেন ৭৮ হাজার গ্রাহক। গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার পেতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে ঢ়ৎবঢ়ধরফ.শমফপষ.মড়া.নফ ওয়েব ঠিকানায়। কেজিডিসিএল’র অনলাইন রেজিস্ট্রেশনকৃত আবাসিক গ্রাহকরাই কেবল প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

পূর্বকোণ/আরএ

 

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট