চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রামে হেলে পড়ল ৪ তলা ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১:৫৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর রেল স্টেশনের পাশে একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ষোলশহর রেলস্টেশনের ডান পাশে অবস্থিত ভবনটি হেলে পড়ে।

 

ভবন মালিক খোরশেদ আলম বাপ্পী জানান, এই ভবনে কেউ থাকে না। এখানে সব দোকান ও অফিস। সকাল ৭টার দিকে হেলে পড়ার বিষয়টি শুনেছি। এরপর সেখান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ভবনটির লাগোয়া চশমা খালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় খালের ওই অংশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। খালে দেয়াল নির্মাণের জন্য খনন কাজের কারণেই দালানটি হেলে গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের মালিকানাধীন ফেরদৌস প্লাজার একাংশ ১০ দিন আগেই ভাঙা হয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য। ভবনটি ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয়। এর চার বছর আগে নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল। এখন অবশিষ্ট অংশও হেলে গেছে। সিডিএর পারমর্শে এখন পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হচ্ছে। 

 

চারতলা ভবটির নিচতলায় দোকান, দোতলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তিন তলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং চার তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৩৫তম ব্যাচের সংগঠন ঝুঁপড়ির’ একটি কার্যালয় রয়েছে।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৩৫তম ব্যাচের সংগঠন ‘ঝুঁপড়ি’র সদস্য ওম প্রকাশ বলেন, গতকাল ভবন ভাঙার কারণে আমরা সেখানে নিরাপদ মনে করিনি। এরপর সেখান থেকে আমাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছি।

 

পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, খোরশেদ আলম বাপ্পী নামে একব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ভবন হেলে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার কবির হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, ভবনটির কিছু অংশ খালের অংশে পড়ায় ওই অংশটুকু আগেই ভাঙা হয়েছিল। এছাড়া ভবনটির পাশে চশমা খালের খনন করা হয়েছে। খনন করায় নিচ থেকে মাটি সরেছে। এসব কারণ হেলে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএ’র অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান পূর্বকোণকে বলেন, আসলে ভবনটির প্রায় ২২ ফুট খালের অংশে ছিল। যা আমরা কিছুদিন আগে ভেঙে দিই। এই ভবনটির আরও ৪৫ ফুটের মত রয়েছে। ভবনটিই পুরোটাই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। পুরো ভবনটিই ভাঙার নির্দেশ দেয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট