চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বর্ধিত পরিবহন ব্যয় যোগ হচ্ছে পণ্যের দামে

ইফতেখারুল ইসলাম 

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ডলার সংকটের কারণে একদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেলের কারণে বাড়তি পরিবহন ভাড়াও পণ্যের দামের সাথে যোগ হচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, ২৮টি মহাসড়কে স্কেল বসছে। এখন চাইলে তিনি ৬ টি মহাসড়কের স্কেল উদ্বোধন করতে পারেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ওজন স্কেল সরানোর কোন সুযোগ নেই।

 

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ওজন স্কেলের বিষয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। যা দুঃখজনক। ব্যবসায়ীদের দাবি হল মহাসড়কে যদি ওজন স্কেলের প্রয়োজন হয় তবে সব মহাসড়কেই বসানো হোক। না হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের স্কেলটি সরিয়ে ফেলা হোক।

 

জানতে চাইলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহাবুবুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, ওজন স্কেল নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে একাধিকবার মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন সারাদেশে ২৮টি মহাসড়কে ওজন স্কেল বসছে। যদি সব মহাসড়কে ওজন স্কেল বসে তাহলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কোন আপত্তি নেই। দেশের আর কোন মহাসড়কে ওজন স্কেল বসানোর আগে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্কেল বসানোর কারণে আমরা আপত্তি করেছি। আসন্ন রমজানে ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোন সংকট হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরবরাহ চেইন ঠিক আছে।

 

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়ৎদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম পূর্বকোণকে বলেন, একদিকে ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত এলসি খুলতে পারছেন না। অপরদিকে ওজন স্কেলের কারণে অন্যান্য জেলার চেয়ে চট্টগ্রামের পণ্যের পরিবহন ব্যয় বেশি। যার প্রভাব রমজানের ভোগ্যপণ্যের উপর পড়বে না একথা বলার সুযোগ নেই। এই ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা অসম ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় পড়েছেন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রির সময় ওজন স্কেলের খরচটাও পণ্যের দামের সাথে যোগ করতে বাধ্য হন। এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

 

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ওজন স্কেল দিয়ে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। বেনাপোল থেকে ১৬/১৮ টন পণ্য নিয়ে দেশের যেকোন জেলায় ট্রাক যাচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ নেই। আবার চট্টগ্রামের ভাড়াও ৫ হাজার টাকা বেশি। যার প্রভাব পণ্যের উপর পড়ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট