এবার যেভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হলো তার প্রভাব কেবল অর্থনীতিতে নয়, সব খাতেই পড়বে। কারণ এর মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম কম বা বেশি নিয়ে গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া, প্রতিকার চাওয়া, নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা- সবকিছুই রহিত হয়ে গেল। আইন সংশোধন করে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের হাতে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ না করে যত খুশি তত ব্যয় করবে, মুনাফা করবে। ঘাটতি বাড়লে সেটা সমন্বয়ের জন্য যখন-তখন মূল্য বৃদ্ধি করবে।
আগে দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি হতো। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হতো। এখন এসব হবে না। যত খুশি তত দাম বাড়াতে পারবে মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে এই খাতে অরাজকতা তৈরি হবে। এবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখানে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের প্রাসঙ্গিকতা আর নেই। এখানে যা খুশি তা করা হচ্ছে এবং আরও করার জন্যই মূল্য বৃদ্ধির ক্ষমতা নেওয়া হয়েছে।
এবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়ার ক্ষতিকর বা অভিঘাতের মাত্রা বলে শেষ করা যাবে না। এখন আড়াই বছর পর বাড়ালো। এখন প্রতি মাসে যখন খুশি তখন বাড়বে। প্রতি মাসে মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতিতে কি প্রভাব পড়বে তা নির্ধারণ করা কঠিন।
অধ্যাপক এম শামসুল আলম
জ্বালানি উপদেষ্টা, ক্যাব
পূর্বকোণ/আরএ