গত দু’দিনের ঘন কুয়াশাতেও বিঘ্নিত হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজের বার্থিং সিডিউল। নিয়ম মেনেই কুয়াশার মধ্যে সকালের জোয়ারে গতকাল জাহাজ বহির্নোঙ্গরে থেকে জেটিতে প্রবেশ করেছে। অপেক্ষামাণ জাহাজ না থাকায় বহির্নোঙ্গর থেকে সব জাহাজ জেটিতে ভিড়ে। সকালে বন্দরের জেটিতে পাঁচটি কনটেইনার ও ছয়টি কার্গো জাহাজ অবস্থান করছিল। তারপরও দুটি জেটি খালি ছিল বলে জানায় বন্দর সূত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচল জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল। দিনে দুইবার অর্থাৎ সকালে ও বিকালে জোয়ারের সময় বন্দর জেটিতে জাহাজ প্রবেশ করানো হয় এবং জেটি থেকে বের করা হয়। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজগুলো বন্দরের নিজস্ব পাইলটরা জেটিতে নিয়ে আসেন। এছাড়া অন্যান্য সময় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে। তাই সকালের জোয়ার ধরতে না পারলে বিকালের জোয়ার পর্যন্ত জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে বসে থাকতে হয়। তবে ডলার সংকটে আমদানি কমে যাওয়ায় বিদেশ থেকে জাহাজ আসছে কম পরিমাণে। তাই জাহাজ সরাসরি এসে জেটিতে ভিড়ে এবং সম্প্রতি জেটি খালিও থেকে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের জানান, গতকাল সকালে জোয়ার শুরু হয় ৭টা ৫০ মিনিটে। এ সময়ে সিডিউল অনুযায়ী একটি জাহাজকে জেটিতে ভেড়ানো হয়। বন্দর কর্মকর্তারা জানান, গত ডিসেম্বরে ১০ দিন চট্টগ্রাম বন্দরে দুই থেকে তিনটি করে জেটি খালি ছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন চারটি, দ্বিতীয় দিন ছয়টি এবং তৃতীয় দিন আটটি জেটিতে কোনো জাহাজ ছিল না। অর্থাৎ ডলার সংকটে ডিসেম্বরে পণ্য আমদানি কমার যে প্রবণতা ছিল, সেটি নতুন বছরে অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/আর