চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভাঙ্গা মেরুদণ্ডের আধুনিক সার্জারিতে সাফল্য অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১:০৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা সায়েদ হোসাইন। সপ্তাহ তিনেক আগে ১০ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন ৫৬ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ। আঘাতের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সায়েদ হোসাইনের মেরুদণ্ডের একটি অংশ ফেটে যাওয়ার দৃশ্য (এল-২ ভার্টিরা ফ্র্যাকচার হয়) ধরা পড়ে।

 

যদিও এ চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল, তবে সুখবর হচ্ছে- ভাঙ্গা মেরুদণ্ডের আধুনিক পদ্ধিতিতে সার্জারি করে সাফল্য অর্জন করেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। যার ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সায়েদ হোসাইনও। গতকাল মঙ্গলবার ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেন সায়েদ হোসাইন।

 

এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, স্পাইন সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে গত ১৯ ডিসেম্বর এ সার্জারি সম্পন্ন করা হয়। এমআইএস (মিনিম্যালি ইনভেসিভ সার্জারি) পদ্ধতিতে ভাঙ্গা মেরুদণ্ড জোড়া লাগানোর চিকিৎসা প্রথমবারের মতো এ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়।

 

সার্জারিতে নেতৃত্বপ্রদানকারী ডা. মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “প্রযুক্তির কল্যাণে চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে। স্পাইন ইনজুরির অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি এমআইএস প্রয়োগ করে আমরা সফল হয়েছি। এই সাফল্য এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিকিৎসা সাফল্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ চিকিৎসায় সার্জারি পরবর্তী জটিলতা নেই বললেই চলে।’

 

চিকিৎসকরা জানান, মেরুদণ্ডে ফ্র্যাকচার হওয়া থেকে পরবর্তীতে যেকোন সময় এসব রোগীর দুই পায়ে দুর্বলতা কিংবা অবশতা সৃষ্টি এবং মল-মূত্র ত্যাগে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি সময় ক্ষেপণ করলে রক্তক্ষরণসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তবে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে শরীরে মাত্র ২ সেন্টিমিটারের ছোট ছিদ্র করে সার্জারি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ফলে সার্জারির পর মাত্র ১ অথবা ২ দিনের মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরে যেতে পারে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট