চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুইজন কর্মকর্তার বিরদ্ধে বেনামে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূরক প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চসিকে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন সেলিম এবং সরওয়ার আলম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সেলিমের স্ত্রী জেবুন্নেসা খানমের মালিকানাধীন মেসার্স এ এইচ এন্ড এ বি ইঞ্জিনিয়ারিং নামের প্রতিষ্ঠানটি চসিকের কয়েকটি প্রকল্পের কাজ করেছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ১৭(৩) ধারামতে কোন সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যাতিরেকে তার পরিবারের কোন সদস্যকে তার এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন ব্যবসায় জড়িত হওয়ার অনুমতি দিতে পারবেন না। তাই সেলিমের স্ত্রীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কাজ করার পূর্বে সরকারের অনুমোদন নিয়েছেন কিনা তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
চিঠির জবাবে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা মন্ত্রণালয়ের কাছে যে চিঠি দেন তাতে বলা হয়, জেবুন্নেসার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স আবেদনে ফরমের সাথে সরকারের পূর্বানুমোদন দাখিল করেননি। এমনকি লাইসেন্স গ্রহণের কোন পর্যায়ে তার স্বামী যে, চসিকের উপসহকারী প্রকৌশলী তাও জানাননি। তার লাইসেন্সটি ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত নবায়ন ছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন। জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা পূর্বকোণকে বলেন, চিঠিতে দুই উপপ্রকৌশলীর নাম থাকলেও বর্ণনায় সেলিমের স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই সেই তথ্যটিই দেয়া হয়েছে। সরওয়ার আলম খানের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে তাও দেয়া হবে।