চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

তরুণ উদ্যোক্তারা জাপানে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ আগস্ট, ২০১৯ | ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

হাইটেক প্রযুক্তি ও উন্নত টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানের দরজা এখনো উন্মুক্ত। জাপানভিত্তিক সংগঠন এসোসিয়েশন ফর ওভারসিজ টেকনিক্যাল কোপারেশন এন্ড সাসটেইনেবল পার্টনারশিপ ১৯৮০ এর দশক থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে। গতকাল (রবিবার) আগ্রাবাদস্থ ওসমান কোর্ট ভবনে জাপানের কনস্যুলেট অফিসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে চট্টগ্রামে জাপানের অনারারি কনসাল জেনারেল ও এওটিএস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া জাপান এখনো এদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। চট্টগ্রাম থেকে এপর্যন্ত এওটিএস’র মাধ্যমে টেকনিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিষয়ে জাপানে ছয় শ’র অধিক বাংলাদেশি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে এবারে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাপানের উন্নয়ন ও অত্যাধুনিক কারিগরি উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নবীন উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠিত টিম নিয়মিত জাপানে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এওটিএস। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা এ সুযোগ নিতে পারে। এই টিমের উদ্দেশ্য হলো, দি স্পিরিট অব জাপানকে দেখা, জানা ও শেখা। তারা দেখবে, কিভাবে জাপানিরা এখনো কঠোর পরিশ্রম করে এবং সময়জ্ঞান ও ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে নিজেকে, দেশকে ও জাতিকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। কিভাবে তারা অত্যাধুনিক কারিগরি, প্রযুক্তিগত, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট ও কম্পিউটার সফটওয়্যার আপডেট ভার্সনগুলো দ্রুত আয়ত্ত করে কাজে লাগায়। ২০ থেকে ৩০ সদস্যের এই টিমে থাকবে তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তার পাশাপাশি
। ১১ পৃষ্ঠার ৫ম ক.

ব্যাংক, বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। এই শিক্ষা সফরের মাধ্যমে দু’ দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো মজবুত হয়ে নলেজ শেয়ার বাড়বে এবং যৌথ ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম আরো বলেন, জাপান চায় বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে একটা উন্নয়ন বলয় তৈরি করতে। যার সমান সুফল পাবে বাংলাদেশও। এটাকে আমরা বলতে পারি দি বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়াঙ্গল। তবে জাপানের বেশি আগ্রহ সমুদ্র উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে নিয়ে। যেখানে ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হওয়ার এখনই সময়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট