চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এবার মিলল শিশু আয়াতের পুরো মাথা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় খুন হওয়া শিশু আয়াতের পুরো মাথাটি পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এছাড়া তার মাথা থেকে একটি ক্লিপও উদ্ধার করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর আকমল আলী রোড এলাকার স্লুইসগেটের কাছে মাথাটি পাওয়া গেছে।

 

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ দে পূর্বকোণকে বলেন, ‘সকালে শিশু আয়াতের মাথার খণ্ডিত অংশ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার মাথার একটি ক্লিপও উদ্ধার করা হয়েছে। এটি শনাক্ত করেন আয়াতের বাবা। এর আগে বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তের একটি নালা থেকে শিশুটির দুই পায়ের অংশ উদ্ধার করা হয়।’

 

খুনি আবির আলীর (১৯) দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে গত ৩দিন ধরে পিবিআইয়ের ২৫ জনের দুটি টিম আয়াতের দেহের খণ্ডাংশগুলো ফেলার স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

 

আবির আলী স্বীকার করেছে, মুক্তিপণের জন্য সে বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করেছিল। চিৎকার করায় শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ১৬ নভেম্বর সকালে মরদেহ তিন টুকরো করে আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে বেড়িবাঁধের পর আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে–টার্মিনাল এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওইদিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে একটি নালায় স্লুইস গেইটের প্রবেশমুখে ফেলে দেয় আবির। অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও স্যান্ডেল, মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত বটি ও কাটার উদ্ধার করা হয়।

 

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজিড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।

 

গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে আবিরকে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবির জানায় মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে পানিতে ফেলে দেয়।

 

পেশায় পোশাক কারাখানার শ্রমিক আবির এক সময় আয়াতের দাদার বাড়িতে ভাড়া থাকতো । ১৯ বছর বয়সী এ যুবক বর্তমানে ওই এলাকার আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকে। ইতোমধ্যে আবিরকে আদালতের আদেশে দুই দফা রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল আবীর আলীর বাবা-মাকেও ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এছাড়া তার বোনকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রভেশন অফিসারের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট