চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৪ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ইফতেখারুল ইসলাম

৩০ নভেম্বর, ২০২২ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় এলে তিনি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে এবিষয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছে। তারা বাস টার্মিনাল প্রকল্পটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য তাদের মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। চট্টগ্রামের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পটিও থাকছে।

 

এসংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামি ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসবেন। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী কুলগাঁওয়ে বাস্তবায়নাধীন সিটি বাস টার্মিনাল প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

চসিক সূত্র জানায়, নগরীর মাস্টার প্ল্যানে নগর উন্নয়নে কুলগাঁও এলাকায় ২৮ একর জমি চিহ্নিত করে রাখা হয়। উত্তর চট্টগ্রামের ১২টি রুটের বাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে অনুমোদন হয়। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৮.১০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা। প্রায় ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর কুলগাঁওয়ের বালু ছড়ায় নির্মিতব্য প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, জমি উন্নয়ন ব্যয় ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, বাস-ট্রাক টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইয়ার্ড নির্মাণে ব্যয় হবে ২৫ কোটি টাকা।

 

প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে কয়েকটি ধাপে। প্রথম ধাপে করা হবে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ আনুষাঙ্গিক কাজ। সর্বশেষ নির্মাণ করা হবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। চারতলা বিশিষ্ট ওই ভবনে থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রকল্পের ভূমির ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য ২০২০ সালের প্রথমদিকে ১৩০ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনকে জমা দেয়া হয়েছে।

 

এদিকে, ভূমি মালিকরা জানিয়েছেন, গত ৩০ অক্টোবর জেলা প্রশাসন থেকে তারা ৭ ধারায় নোটিশ পেয়েছেন। তারা খতিয়ানে উল্লেখিত জমির শ্রেণির ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা এখন উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট