চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৪ ডিসেম্বর পুরো মাঠ ভরাতে চায় নগর আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ নভেম্বর, ২০২২ | ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পলোগ্রাউন্ড কানায় কানায় পূর্ণ করতে চায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। জনসভাকে বর্ণিল করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলা ভিত্তিক টি-শার্ট ও ক্যাপের রং নির্ধারণ করে দিয়েছে তারা। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আলাদাভাবে মানুষ আনার ব্যবস্থা করছে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।

 

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সমাবেশের জমায়েত প্রসঙ্গে বলেন, জনসভাটা চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে হলেও জনসভার স্থান মহানগরে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্বটা বেশি। পলোগ্রাউন্ডের আশপাশের ওয়ার্ড থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ আসবে। কোন কোন ওয়ার্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ আসবে। দূরের ওয়ার্ড থেকে কিছুটা কম আসবে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে দুই লাখের অধিক মানুষ সমাবেশে যোগদান করবে। এর বাইরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যলীগ, তাঁতীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে মানুষ আসবে। তার সাথে যোগ হবে সাধারণ মানুষ। জনসভাস্থল পলোগ্রাউন্ড শুধুমাত্র মহানগরের লোকজনেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে বসেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ময়দানের চারপাশে কয়েক বর্গকিলোমিটার জুড়ে মাইক লাগানো হবে। তাই উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগর থেকে যত লোকই আসুক না কেন কোন সমস্যা হবে না।

 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মহানগর আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভায় ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ তাদের প্রস্তুতি তুলে ধরে বলেন, কোন কোন ওয়ার্ড হতে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ আসবে। তবে দূরের ওয়ার্ড থেকে কমপক্ষে দুই হাজার মানুষ আনার প্রস্তুতি চলছে বলে সভায় জানানো হয়।

 

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম পূর্বকোণকে বলেন, কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে আলাদাভাবে সমাবেশে যোগদান করবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাদের সমন্বয় করবেন। উত্তর চট্টগ্রামের ৭ উপজেলা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আসবে উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে বাস-ট্রাক ভাড়া করা শুরু হচ্ছে। সন্দ্বীপ থেকে লঞ্চ, স্পিড বোটে করে মানুষ আসবে। এছাড়াও আলাদাভাবে কিছু লঞ্চ সেদিন চলবে। যারা সমাবেশে আসতে চায় ওই লঞ্চে করে আসতে পারবে।

 

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, দক্ষিণ জেলার ৮ উপজেলা থেকে দেড় লাখ মানুষ সমাবেশে যোগদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে কাজ চলছে। এক উপজেলা থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ আনার পরিবহন ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষ একদিন আগে থেকে আসতে শুরু করবে। শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, আবাসিক হোটেল এমনকি কেউ কেউ পলোগ্রাউন্ডেও রাতযাপন করবেন। তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। একেক উপজেলার কর্মী-সমর্থকদের একেক ধরনের টি-শার্ট ও ক্যাপ পড়তে হবে। বর্ণিল উপস্থিতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলার মানুষের জন্য সবুজ, পটিয়ার জন্য লাল, চট্টগ্রাম-৮ আসনের জন্য হলুদ, সাতকানিয়া লোহাগাড়ার জন্য সাদা, বাঁশখালীর জন্য নীল এবং চন্দনাইশের জন্য গোলাপি চকলেট কালার নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট