চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থান হতে সম্প্রতি চুরি হয়েছে অনেক মোটরসাইকেল। এরমধ্যে কিছু মোটরসাইকেল সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের রামু উপজেলায়। সেখানে নেয়ার পর ঘষামাজা করে বদলে দেয়া হতো এসবের চেহারা। পুলিশ থেকে বাঁচতে পরিবর্তন করা হতো ইঞ্জিন এবং চেসিস নম্বরও। সবকিছু ঠিকঠাকের পর এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করা হতো কোম্পানি মূল্য থেকে আরও অনেক কম দামে। বেচাকিনা জমজমাটই দীর্ঘদিন। কিন্তু বাঁধ সাধল বেরসিক গোয়েন্দা পুলিশ।
রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজারের রামু থানাধীন ঈদগড় এলাকায় অভিযান যান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা বিভাগ। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় ৪ জনকে। উদ্ধার করা হয় ডজনখানেক চোরাই মোটরসাইকেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, গত ১৬ নভেম্বর পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন অলি খাঁ মসজিদ সংলগ্ন একটি হোটেলের নিচ থেকে চুরি হয় একটি মোটরসাইল। পরে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৪০), মো. সেলিম (২৭) ও তাদের স্থানীয় সহযোগী সঞ্জয় এবং মিজানুর রহমান (৩৭)।
উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার জসিম, সেলিম ও পলাতক আসামি হাসেম প্রকাশ হাকিম ড্রাইভার চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে গ্রেপ্তার সঞ্জয় পালের মাধ্যমে মিজানসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করে রামু থানাধীন ঈদগড় এলাকায় নিয়ে পৌছে দিত।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পলাতক আসামিদের সহায়তায় তারা মোটরসাইকেলসমূহের ইঞ্জিন লক, ট্যাংকির লক, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর ঘষামাজা করে পরিবর্তন করত। পরে স্থানীয় লোকদের নিকট অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে নগদে অথবা কিস্তিতে এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করত।
মুহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে চুরি, চোরই মাল অসাধুভাবে গ্রহণ, চোরাই মালামাল জ্ঞাত হয়ে ক্রয়-বিক্রয়, জালজালিয়াতি ও উক্ত অপরাধে সহায়তা করায় পাঁচলাইশ থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান এবং চোরাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ